বিজয় দিবস ঘিরে এনসিটিএফ’র চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী বড় দিন উপলক্ষে দূর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে : এড: এয়াকুব আলী চৌধুরী বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা
এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবিরোধী শক্তি কোনো দিন যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন। দীর্ঘ বক্তব্যে স্বাধীনতার পর থেকে নানা সময়ের ষড়যন্ত্রের উল্লেখ করে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তখন অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপি সরকার। আর গ্রেপ্তার করা হলো আমাকে। কারা এ কাজ করেছে, তা আমি জানি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা যেন কোনো দিন ব্যর্থ হতে না পারে এ জন্য দেশবাসীসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি এবং যুদ্ধাপরাধীদের দেশ নয়, এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের, আমরা সেভাবেই দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই।’
২০০৮ সালের নির্বাচনেও যেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসতে পারে, তার জন্যও ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলব। যে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করলেন, তারা ভিক্ষা করবে বা রিকশা চালাবে, এটা অপমানজনক।
বিএনপি-জামায়াত সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার গাড়ি, বাস, ট্রাক, লঞ্চ আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। সরকারি অফিসে আগুন দিয়েছে। কেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো-এটাই তাদের অন্তর্জ্বালা। তারা তো ক্ষমতায় থেকে ভোগ-বিলাস করেছে, মানি লন্ডারিং করে ধরা পড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা এতিমখানার টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছে। সবকিছু ধরা পড়েছে। আদালত তাদের সাজা দিলে তারা মানে না। তারা কিছুই মানে না। তারা ক্ষমতায় থেকে মানুষকে হত্যা করেছে, এখনও তাই করতে চায়। দেশের কোনও উন্নয়ন তারা চোখেই দেখে না, অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার পরে এটির ১৫ বছর মেয়াদ থাকবে। কাজেই ৫ বছরের মধ্যেই আবার শুরু করতে হবে। এভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ করব তারপরে ৩ করবো এভাবে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নেওয়া রয়েছে। তিনি বলেন, আজকে মেট্রো রেল নির্মাণ হচ্ছে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলে টানেল, আমরা ফ্লাইওভার করে দিচ্ছি, হাইওয়েগুলো চারলেন বিশিষ্ট করে দিচ্ছি, ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে গেছে। ঢাকা-সিলেট শিগগিরই শুরু হবে, ঢাকা ময়মনসিংহ থেকে একেবারে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পর্যন্ত-এভাবে আমরা ব্যাপকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা জিনিস মনে রাখবেন বিএনপি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি যে করে নাই, সেটা আমাদের মুখের কথা নয়, আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোশাররফ হোসেন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।