সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনাও এখন ই-জিপির মাধ্যমে হচ্ছে, বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বিপিপিএ পরিদর্শন করেছে। ই-জিপি সিস্টেম ৪টি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে, যা বর্তমানে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যয়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বিপিপিএ’র কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যয়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন এমন মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আওতায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময়ে ৮৭.৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে ড্রকাশ করা হচ্ছে।ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতিবছর দেশের ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে আর ১০৫কোটি ৩০লক্ষ কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১.৫৪ লক্ষ টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে।
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তালেবসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা, ব্যাংকের ম্যানেজার,ঠিকাদার এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।