কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। এবারের ঈদেও পর্যটকশূন্য পার্বত্য জেলা বান্দরবান। একের পর এক করোনার ঢেউয়ে থেমে গেছে বান্দরবানে ভ্রমণে আসা পর্যটকের কোলাহল, নিস্তব্ধ পাহাড়, নদী আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পর্যটকন্দ্রেগুলো।
প্রতিবছর ঈদ ও সরকারি ছুটিতে বান্দরবানে উপচেপড়া পর্যটকের ভিড় থাকলেও গত দুই বছর থেকে ভিন্ন চিত্র,এবারের ঈদেও পর্যটক শূন্য পার্বত্য জেলা বান্দরবান।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলতি বছরের ১এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। এদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এর পর থেকে জেলায় পর্যটকদের আগমন কমে যায়।
জেলার পর্যটনকেন্দ্র মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে প্রতিবছর এই সময়টা পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকলেও করোনা মহামারি বিস্তাররোধে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এবং লকডাউন চলার কারণে পর্যটকদের আগমন ঘটেনি জেলায়।
প্রতিবছর ঈদের এই সময়ে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের ভীড়ে কয়েকদিন জাঁকজমক হয়ে ওঠে পুরো জেলা কিন্তু চলমান লকডাউন আর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এবারের ঈদ অনেকটা মলিন হয়ে গেছে অনেকের কাছে।
বান্দরবান জেলা সদরের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর কোরবানীর ঈদে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নীলাচল ও মেঘলা ,চিম্বুকসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমন করি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি সারাদিন আনন্দ উদযাপন করি, কিšু‘ করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ এবং লকডাউন চলার ফলে আমাদের ঈদ আনন্দ অনেকটাই কমে গেছে।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন,বান্দরবানের জেলা প্রশাসন থেকে সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার নিদের্শনা প্রদানের পর থেকেই বান্দরবানে কোন পর্যটক এর আগমন হচ্ছে না এবং কোন পর্যটক হোটেল-মোটেলে না আসায় আমরা বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বন্ধ করে কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ আরো বলেন,প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে আমরা জাঁকজমক ব্যবসা করি এবং সারা বছরের বেশিরভাগ মুনাফা এই সময়ে সংগ্রহ করার চেষ্টা করলে ও এবারের কোরবানীর ঈদে বান্দরবানে নেই কোন পর্যটক। পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ।