লামায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা বান্দরবানে বৈশাখী টেলিভিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন চাঁদা না পাওয়ায় ত্রিপুরাদের বাড়িতে আগুন, বলছে পুলিশ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাঙামাটি চট্টগ্রাম ট্রাক মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার রাজধানীর এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে দেশের শিল্পখাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় অসময় চলে গেলেন নুরুল ইসলাম। করোনার সংকট কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর মতো উদ্যোক্তার খুবই দরকার ছিল। তাঁর চলে যাওয়া দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
গত ১৪ জুন নুরুল ইসলামের করোনা ধরা পড়ে। ওইদিনই তাঁকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশিষ্ট এই শিল্পোদোক্তার চিকিৎসায় এভার কেয়ারের ডাক্তার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুদের নেতৃত্ব ১০ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর বাইরে চীনের ৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন।
তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় সংসদের এমপি সালমা ইসলাম। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তাঁর তিন মেয়ে- সনিয়া ইসলাম, মনিকা ইসলাম ও রোজালিন ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।
যমুনা গ্রুপ বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ। ১৯৭৪ সালে নুরুল ইসলাম বাবুল যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে একে একে শিল্প ও সেবাখাতে গড়ে তোলেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলাম একজন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা। বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছে এই যমুনা গ্রুপে।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক, যমুনা নির্মাণাধীন মেরিয়টস হোটেলসহ শিল্প ও সেবাখাতে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে গ্রুপটি।
ইলেট্রনিক্স, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, নির্মাণ এবং আবাসন খাতে ব্যবসায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই গ্রুপ।
জনপ্রিয় দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা
টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম। সর্বশেষ করোনার চিকিৎসায় কুড়িলে ৩০০ ফিটের
কাছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার উদ্যোগ
নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে প্রাথমিক আলোচনাও শেষ করেছিলেন। করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি
টাকার অনুদান দিয়েছিলেন শিল্পপতি নুরুল
ইসলাম। এছাড়াও করোনা মোকাবেলায় সহজ ও সুলভ মূল্যে যমুনা তৈরি করছে
হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গুণগত মানের দিক থেকে
যমুনা গ্রুপ স্বাস্থ্যসম্মত পিপিই তৈরি করছে।
এই বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পপতির মৃত্যুতে রাঙামাটির বিভিন্ন নাগরিক সমাজ, রাঙামাটি রিপোটাস ইউনিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।