শনিবার | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লংগদুতে কৃষ্ণচূড়ার লালে সেজেছে প্রকৃতি

প্রকাশঃ ০৫ মে, ২০২৩ ০৩:৪৯:৪৮ | আপডেটঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৪:০৩:৫১  |  ৪৫৩

সাকিব আলম মামুন , লংগদু (রাঙামাটি)প্রখর রৌদ্দুরের উত্তাপ গায়ে মেখে চোখ ধাঁধানো রক্তিম টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গ্রীষ্মের প্রকৃতি। টুকটুকে এই লাল ফুলে সু-সজ্জিত হয়ে প্রকৃতি যেন সেজেছে আরেক নতুন সাজে। এই সময়টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পথে প্রান্তরে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রৌদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ চিরল পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে

 

গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে প্রচণ্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয়। পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা এসব অঞ্চলে লাল রঙেই দেখতে খুব বেশি অভ্যস্ত। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে। তিন রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছই উঁচু এবং অনেকটা জায়গা জুড়ে এরা বিস্তার ঘটায়। বসন্ত শেষে গ্রীষ্মের রৌদ্রের দাহের মধ্যে প্রায় একই সময়ে তিন রঙে- কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে প্রকৃতিকে নতুন রুপ দেয়। শুষ্ক লবণাক্ত অবস্থায় এই বৃক্ষ প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে

 

জানা যায়, সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও কৃষ্ণচূড়া গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম হলেও শাখা-পল্লবে এটির ব্যপ্তি বেশ প্রশস্ত। এর ফুলগুলো সাধারণত বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো পাপড়িযুক্ত গাঢ় রক্তিম লাল হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ রক্তিম হয়ে থাকে

 

বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন

 

সরেজমিন দেখা গেছে, লংগদু উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়কেই কৃষ্ণচূড়া ফুলের দেখা মিলছে। তার মধ্যে উপজেলা সদর, কলেজ ক্যাম্পাস, রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রজেক্ট সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় এখন রক্তাক্ত লাল হয়ে ফুটে আছে এই ফুল। শোভা বর্ধনকারী বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরত্ব বহন করে। এর কাঠ তুলনামূলক দামী না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে গাছ বপনে আগ্রহ অনেক কম। তবে শখের বেলায় এর কদর রয়েছে বেশ

 

বর্তমানে বৃক্ষ নিধনের শিকার হয়ে কমে যাচ্ছে রঙিন এই গাছ। এক সময় গাছ হারিয়ে যাবে শঙ্কায় স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীরা। তবে এই গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে সৌন্দর্য চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। এতে করে স্থানীয়রা যেমন প্রশান্তি পাবেন, তেমনি পথচারীরা মুগ্ধ হবেন। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে যখন এই ফুল ফুটে তখন এর রূপে মুগ্ধ হয়ে যে কোনো পথচারী থমকে তাকাতে বাধ্য হয়

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions