সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষ পাহাড়ী বাঙালীদের মধ্যকার সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে ৮০ টির বেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালার লারমা স্কোয়ারে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তবে কি কারণে ঘটনার সূত্রপাত সে বিষয়ে প্রশাসনের কেউ কিছু জানাতে পারেনি। সংর্ঘষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির আওয়াজ শোনা যায়।
স্থানীয়রা জানান, লারমা স্কোয়ার এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে গেল বুধবার খাগড়াছড়ি সদরে নিহত মামুন হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পাহাড়ী বাঙালীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা লারমা স্কোয়ার এলাকায় অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট কয়েকঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, আগুনে ৮০ টির মতো দোকান পুড়ে গেছে।
সংর্ঘষের ঘটনায় ১০ জনের মতো আহতের খবর পাওয়া গেলেও আশঙ্কাজনক ২ জনকে রাতে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
দীঘিনালার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, পরিস্থিতি এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে।
ইউপিডিএফর নিন্দা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সদরে পাহাড়িদের
ওপর বাঙালিদের হামলা, ঘরবাড়ি—দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও
প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যায়
সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা উদ্বেগ
প্রকাশ করে বলেন, আজ বিকাল থেকে বাঙালিরা পাহাড়িদের ওপর হামলা চালালেও আইন—শৃঙ্খলা
বাহিনী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে
পাহাড়িদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করছে।