সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় রাঙামাটি বাঘাইছড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহাসিক পবিত্র জশনে জুলুছ উপলক্ষে জশনে জুলুছ বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী বটতলী দরবার শরীফ থেকে শুরু হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনী চত্বর সমাবেশে মিলিত হয়।
পবিত্র জশনে জুলুছ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বটতলী দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুন নুর (মা.জি.আ)।
এ সময় কালিমা খচিত বিভিন্ন রংবেরঙের পতাকা নিয়ে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র জশনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) বর্ণাঢ্য র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গিনালা তৈয়বিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল বারী,উগলছড়ি জামে মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম আলকাদেরী, গাউসিয়া কমিটি বাঘাইছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গাউসিয়া কমিটির সভাপতি হাজী আবদুল শুক্কুর,হাজী আবুল মাসুম, কাচালং দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা মোজাম্মেল হক নুরী,মাওলানা বশির উদ্দিন আনছারী,হাজী আবদুল মাবুদ,হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন,মাওলানা হাসান রেজা, হাফেজ মোঃহেলাল, শায়ের আনোয়ার রেজাসহ আরো অনেকেই।
বক্তারা প্রিয় নবীর আগমনে খুশি হয়ে শুকরিয়া করে বলেন- আল্লাহ তাআলা আমাদের নবীকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে। একটি বৈষম্যহীন, অত্যাচারমুক্ত সমাজ গঠনে রাসূল(দঃ) সর্বদা সংগ্রাম করে গেছেন। দুনিয়ার জমিনে তাঁর আগমন না হলে মানব সম্প্রদায় ইসলাম-কোরআন কিছুই পেত না। তাই আমরা রাসূলের আগমনে জশনে জুলুস তথা আনন্দ মিছিল করি; যেভাবে মদিনায় তাঁর আগমন উপলক্ষ্যে মদিনার মানুষজন ‘তলায়াল বাদরু আলাইনা’ গেয়ে তাঁকে মদিনায় বরণ করে নিয়েছিল। আজকের দিনে রাসূল(দঃ) এর সুমহান আদর্শকে বাস্তবায়িত করে একটি সুশৃংখল ও বসবাসযোগ্য পৃথিবী গঠন করা দরকার। আর সেজন্য রাসূলের প্রতি থাকতে হবে অগাধ ভালোবাসা, যাকে হুব্বে রাসূল বলে।
আলোচনা সভা শেষে বটতলী দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পার্বত্য অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক সুফি সাধক, সফল ইসলাম প্রচারক, রহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত হযরতুহাজ আল্লামা সৈয়দ নুর মোহাম্মদ শাহ (রহ.) প্রকাশ মারিশ্যা বড় হুজুর কেবলার মাজার শরীফে মিলাদ মাহফিল ও দেশ ও জাতীর কল্যাণে আখেরী দোয়ার মাধ্যমে জুলুসের সমাপ্তি হয়।