শনিবার | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিলাইছড়িতে দীঘলছড়ি মোন পাড়ায় তীব্র পানির সংকটে ৪৫ পরিবার গ্রামবাসী

প্রকাশঃ ০২ মে, ২০২৩ ০১:৩৬:১১ | আপডেটঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৮:১৬:৩৪  |  ৬৫৭

সিএইচটি টুডে ডট কম, বিলাইছড়ি (রাঙামাটি)রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় নং বিলাইছড়ি ইউনিয়নে নং ওয়ার্ডের দীঘলছড়ি মোন পাড়ায় সুউচ্চ পাহাড়ে  ব্যবহার সুপেয়  পানির  তীব্র  সংকটে রয়েছে প্রায় ৪৫ পরিবার। পানির জন্য গ্রামবাসীর অবস্থা খুবই  করুণ হাকাকার। সেখানে  রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।  যা পাড়ায় ২০০ জনেরও অধিক মানুষের বসবাস। জরুরি সহযোগিতা  না পেলে  বড় অসুবিধায় পড়বে  বলে  জানান এলাকার কার্বারি কান্দারা চাকমা। 

 

মঙ্গলবার  ( মেকার্বারি   এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে  জানা যায়, পাড়াটি সমূদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে যা বিলাইছড়ি জুরাছড়ির সীমানার কাছাকাছি। পাহাড়ের ঢালে জুম চাষে একমাত্র ভরসা।   সেখানে  তারা আরও জানান, এই মোন পাড়ায়  একটি মাত্র কূয়া বা কুয়া বা পানি নির্গত কূপ রয়েছে। তাও পাহাড় বা পাড়া  থেকে অনেক  নীচে,সেখানে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে লাইনে দাড়িয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়।তাও কোন কোন সময় পাওয়া যায় না।বর্তমানে একেবারে শুকিয়ে গেছে। পানি পাওয়া যায়  না পাহাড় বা পাড়া থেকে মূল ঝর্ণায়  পানি সংগ্রহ করতে হলে প্রায় এক থেকে  দেড় কিলোমিটার নীচ  থেকে হেঁটে পানি আনতে হয়।গোসলের পানি তো বাদ পান করার মত পানি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। 

 

এসব বিষয়ে আরো  স্থানীয় দীঘল ছড়ি মোন পাড়া সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কালিদাস চাকমা জানান, প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে শুকিয়ে যায় কূয়ার পানি, ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন।সবচেয়ে বেশি পানি সংকটে পড়ে বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী  ছাড়াও অন্যান্য শিশুরা। ফলে দেখা দেয় নানা রোগের প্রাদূর্ভাব। এবছরে এই কূয়ার পানি তীব্র গরমে একেবারে শুকিয়ে গেছে, অন্য একটি কূয়া থেকে পানি আনতে গেলে  প্রায় ৩০০ ফুট নীচ থেকে আনতে হয়। এবং সেটি খুবই বিপদজনক, গভীর খাদ, খাড়াযা অসম্ভব, পা পিছলে যায়।অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পানি তুলতে হয়। সাক্ষী হিসেবে গুরিত্তং চাকমা নামে একজন ব্যক্তি সেখান থেকে পানি আনার সময় পড়ে গিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে কোনো ভাবে   বেঁচে আছেন  

 

এই বিষয়ে নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান - এর সঙ্গে মুঠোফোন কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ হতে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে, যদি অনুমোদন আসে তাহলে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। 

 

এইসব বিষয়ে আরো উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী  প্রকৌশলী রিপ্রেশ তালুকদার - এর  সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, কিভাবে পানি সংকট সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। 

 

উল্লেখ্য যে, বৃটিশ আমল হতে এই গ্রামের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসলেও  সুপেয় পানির সু-ব্যবস্থার থেকে  এখনো বঞ্চিত। কোনো  জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সময় এলাকায় আসলে  পানি সংকট সমাধানে  আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দিলেও দূর্গমতার কারণে  এযাবৎ বাস্তবায়ন  করে দেয়নি  কেউ। তাই তাদের  জল বা পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বৃষ্টি নতুবা পাহাড়ের ঢালে হেঁটে গিয়ে আনতে হয় অনেক দূর থেকে। এজন্য কষ্টের যেন শেষ নেই তাদের। 

 

তা- অসহায় এই পরিবারগুলোর দ্রুত  সমস্যা নিরসনে   উপজেলা পরিষদ কিংবা  জেলা পরিষদ নতুবা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অথবা কোনো দাতাগোষ্ঠীর  সুদৃষ্টি প্রয়োজন

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions