কাউখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মা-বাবাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশঃ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:৫৫:০৯
| আপডেটঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:৩১:৫৪
|
৭৫৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনার সময় ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির আঘাতে ভিকটিমের মাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গত ১৪ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটলেও ভিকটিম ছাত্রীর মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজে বাদী হয়ে কাউখালী থানায় ধর্ষণে অভিযুক্ত তাওহিদসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার বাদী জানায়, বছরখানেক আগে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিন মেয়েকে নিয়ে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নে বসবাস করে আসছেন মামলার বাদী। গত ১৪ ডিসেম্বর ভিকটিক শিশুকে রেখে তিনি বাজার করতে চাইঞোরিবাজারে যান। এ সুযোগে প্রতিবেশী জাকির হোসেনের ছেলে মো. তাওহিদ (১৮) ভিকটিমকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভিকটিম ও তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ধর্ষণের পর ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর সময় এক প্রতিবেশী তাওহীদকে দেখতে পান। এদিকে, এ ঘটনায় দু-দফায় ভিকটিম ও তার মাকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মারধর করায় স্থানীয়রা ভিকটিমের মাকে উদ্ধার করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার রাতে কাউখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা।
এ মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. তাওহিদসহ (১৮) পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যআসামিরা হলেন- তাওহীদের মা হাসিনা বেগম (৪০), পিতা জাকির হোসেন (৪৫), নূর জাহান (৩০), মো. আমির হোসেন (২৫) ও মোছাৎ গোলাপ নূর (৪৫)। জানতে চাইলে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের মা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।