সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ের সভাকক্ষে আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ (ওএলএইচএফ) প্রকল্পের উদ্যোগে যুব ও কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক ৩দিন ব্যাপি ওরিয়েন্টেশন সেশন সমাপ্ত হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে সদর উপজেলার পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা,পরিবার কল্যাণ সহকারী, স্বাস্থ্য সহকারী, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারসহ ১৫জন অংশ গ্রহণকারী হিসেবে ওরিয়েন্টেশন সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে সিমাভি ও বিএনপিএস এর সার্বিক সহযোগিতায় অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন সেশনের উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ভানু মারমা।
এসময় অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর দীনেন্দ্র ত্রিপুরা,বাংলাদেশ নারী প্র্রগতি সংঘের মাস্টার ট্রেইনার সুমিত বণিক এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী দিধিতি চাকমা।
প্রশিক্ষণের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. অং চালু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ভানু মারমা। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১২-১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দিনব্যাপী এই ওরিয়েন্টেশন সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা.নিহার রঞ্জন নন্দী,সহকারী র্সাজন ডা. তাহমিনা করিম রুপা,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম চাকমা, ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডা. মো. নূরসাফা, বাংলাদেশ নারী প্র্রগতি সংঘের মাস্টার ট্রেইনার সুমিত বণিক, ট্রেইনার য়ইসানু মারমা।
ওরিয়েন্টেশনের অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হলো কিশোর কিশোরী। বিভিন্ন কারনে কিশোর কিশোরীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত জেন্ডার বৈষম্য শিকার হচ্ছে, তাই আমাদের উচিত এটাকে সম্পদে পরিণত করা। কারণ কৈশোর বয়স জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়,এসময় ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়,এই পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের কৌতুহল ও ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়। তাই কিশোর-কিশোরীদের জীবনে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়।
এসময় বক্তারা বলেন, আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় পারে কিশোর কিশোরীদেরকে সঠিক তথ্য ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে অপ্রত্যাশিত ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এসময় আরো বলেন,সরকারি ও বেসরকারি নানা সমন্বিত উদ্যোগের ফলে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের চাহিদা তৈরি হচ্ছে।
সরকারের গৃহিত কার্যক্রমকে সফল করতে প্রান্তিক পর্যায়ে কিশোর ও কিশোরীরা গুণগতমানের স্বাস্থ্য সেবাটা পায় সেটাকে আমাদের সবাইকে মিলে নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই, সেখানে এটিকে চালু করা এবং যেখানে কেন্দ্রগুলো বর্তমানে চালু আছে সেগুলোকে সক্রিয় করার প্রতি বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।