ষ্টাফ রিপোটার, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহরের ৮নং যুবলীগ নেতা নাসির হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নাসিরের মা ও স্ত্রীসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয়, নাসির এর উপর হামলা ঘটনার ১২দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করেনি, পুলিশ মামলা নিতেও চায়নি পুলিশ আসামী ধরতে টালবাহানা করছে। আসামীদের গ্রেফতার না করায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আসামী গ্রেফতার না করায় নাসিরের পরিবারের সদস্যরা এখন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
প্রসঙ্গত: চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে অগঠনতান্ত্রিভাবে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয় হয় ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাসিরকে, পরে নাসির চাঁদাবাজির বিষয়ে মিডিয়ায়তে মুখ খোলায় গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে অন্ধকারে মাথা এবং পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়, পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার দিন মামলা করতে গেলেও পুলিশ গড়িমসি শুরু করে পরে ঘটনার ৩দিন পর ৮জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ মামলা নেয়, আসামীরা হলেন, রাঙামাটি শহরের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আরিফ,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক মোঃ মিজান, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ শাকিল,ছাত্রলীগ কর্মী আজমীর,কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দে,পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খানসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন। ।
মামলা নেয়ার ১২ দিন পার হয়ে গেলেও একজন আসামীকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মামলার বাদী নাসিরের স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন, আসামীরা এত শক্তিশালী যে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। আসামীরা নানাভাবে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নাসিরের ভাই আতাউর রহমান ও মাহবুব বলেন, আসামীরা জামায়াত শিবিরের কায়দায় আমার ভাইয়ের রগ কেটে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য করেছিল। নাসিরের শরীরে নৃশংস হামলা চালিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশকে বার বার বলার পরও পুলিশ আসামী ধরতে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা নাসির অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর আগে ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে, অথচ যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়, তাদের বহিস্কার তো দুরের কথা তাদের পদও স্থগিত করা হয় না। এখানে কালো টাকার খেলা চলছে, আমরা গরীব আমাদের পাশে কেউ নেই। দু:সময়ের নেতা কর্মীরা বার বারই উপেক্ষিত থাকে।
বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল বলেন, আমরা চাচ্ছি দলীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করতে, জেলা আওয়ামীলীগ থেকে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে, আমরা বৈঠকে বসেছি, আরো বসব।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল ইসলাম রনি জানিয়েছেন, আসামী ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে, শীঘ্রই একটা ফলাফল পাবেন।