সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের উপর গুরুত্বরোপ করে বলেছেন, পাহাড়ে দুর্গম এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত স্কুলগুলোকে আবাসিক করতে হবে, তাহলে সেখানকার ছেলে মেয়েরা বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করতে পারবে। তিনি জেলা প্রশাসককে এব্যাপারে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দেন।
বুধবার সকালে গণভবন থেকে এক ভিডিও কন্ফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে রাঙামাটির ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী কাপ্তাই লেকে মাছ বন্ধকালীন যেন খাঁচায় মাছচাষ করা যায় এবং কৃষকরা যাতে মাছচাষের পাশাপাশি শাক-সবজি চাষ করতে পারে, সেজন্য মৎস্য কর্মকর্তাদের সেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাহাড়ের মানুষ আগে জমির ক্ষতি পূরণ পেত না। এবার আমরা সমতলের সঙ্গে মিলিয়ে সমান ক্ষতিপূরণ দিতে পাহাড়ে তিনগুণ করে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে আরো জানান, পাহাড়ের মানুষ যাতে অন্ধকারে না থাকে এবং বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হতে পারে, সেজন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে তার সরকার। সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পাহাড়ে বিদ্যুৎতায়নের জন্য ৭০০ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রাঙামাটিতে বিমান বন্দর স্থাপনের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, পাহাড়ের মাটি নরম, এখানকার মাটি বিমান বন্দর তৈরির উপযোগী নয়, তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এছাড়া রাঙামাটির দুটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোজ খবর নেন এবং দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নিমার্ণ করার কাজ শুরু করার তাগিদ দেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদসহ শিক্ষার্থী, মাছ ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবদুল খালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.শফি উল্লাহসহ প্রশাসনিক ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।