শুক্রবার | ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

লংগদুতে আমনের অধিক ফলনে খুশি কৃষকেরা

প্রকাশঃ ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৩:৩০:৪০ | আপডেটঃ ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৪:২১:৪৬  |  ৭৪

সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু  (রাঙামাটি)। পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু আমনের সোনালী পাকা ধান। শীতের হালকা কুয়াশায় মাখা ভোরের আকাশের সূর্য রশ্মি পড়ছে শিশির বিন্দুতে। জ্বলছে যেন মুক্ত দানার মত। প্রকৃতিতে হিমেল বাতাস তাতে ভেসে আসছে মিষ্টি গন্ধ, সাথে শিশির ঝড়ে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর সবুজ ধান গাছের সোনালি শীষে সোনা মাখা রোদ যেন ঝিলমিলিয়ে হাঁসছে।

 

পাহাড়ের পাদদেশে চাষাবাদ করা বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সোনালি ধান। চলতি মৌসুমে সার কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধিতে আমন চাষে তুলনামূলক উৎপাদন খরচ বেড়েছে কৃষকের। তবে ভালো ফলনে খুশি পার্বত্যাঞ্চলের কৃষকরা। আর গত বছরের চেয়ে  এবছর ধানের দাম এক হাজার থেকে ১২শ টাকা হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা তাদের।

 

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদুতে সরজমিনে দেখা যায়, একদিকে কেউ ধান কাটছেন কেউ বা আবার বাড়িতে তুলছেন পাকা ধানের আঁটি, আবার আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মারাইয়ে ব্যস্ত কোনো কোনো চাষি। সবমিলিয়ে খুব আনন্দে হাসিমুখে আমন মৌসুমের পাকা ধান ঘরে তুলছেন স্থানীয় চাষিরা।

 

এদিকে দিন মজুররা দিনে ৭শ থেকে ৮শ টাকায় মজুরি পেয়ে খুশি। তবে বর্তমান মূল্যস্ফীতির বাজারে পারিশ্রমিক কিছুটা বেশিই আশা করেন তারা। 

 

কৃষকরা বলছেন, পাহাড়ে পানি সংকট দূর হলে সারাবছর আবাদ করা সম্ভব। এখানকার আবহাওয়া অনুকূলে মাঠি যেকোনো চাষাবাদের জন্য উর্বর। সরকারের পানি প্রকল্প বা সেচ পাম্পের উদ্যোগ নিলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের সুবিধা দিতে সক্ষম হবে পাহাড়ের চাষিরা।

 

তারা আরও বলেন, ফসল বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক হলো সড়ক ব্যবস্থা। তাই রাঙামাটি থেকে লংগদু উপজেলার সাথে একটি সড়ক নির্মাণ হলে যোগাযোগে ব্যবস্থা উন্নত হবে। ফলে তিন উপজেলার মানুষ বেশ উপকৃত হবে। কমবে চাষের খরচ এবং উচ্চমূল্য পাবে বলে মনে করেন চাষিরা।

 

লংগদু কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রতন চৌধুরী আমন চাষের বিষয়ে বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। এবার ধানের উৎপাদন হয়েছে তুলনামূলক বেশি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আবাদ হতো আর বহুগুণ। উপজেলায় হাজার ১২ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হাজার ৭৪৯ মেট্রিক টন। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য কৃষি অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions