মিঠুন চাকমার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে খাগড়াছড়িতে পিসিপি’র স্মরণসভা
প্রকাশঃ ০৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৯:৩৩:৩৩
| আপডেটঃ ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:৩৩:২১
|
১৬৯
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। শহীদ মিঠুন চাকমার স্মরণে খাগড়াছড়িতে স্মরণসভা করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১০টায় মিঠুন চাকমাকে হত্যার ৭ম বার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভা শুরুর পূর্বে শহীদ মিঠুন চাকমার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ইউপিডিএফের নেতৃবৃন্দ।
সভার শুরুতেই শহীদ মিঠুন চাকমাসহ সকল বীর শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
“শহীদের স্মৃতিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামকে বেগবান করুন” এই শ্লোগানে আয়োজিত স্মরণসভায় পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শান্ত চাকমার সভাপতিত্বে ও কুইক চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা, ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি সদর ইউনিটের সংগঠক প্রকাশ চাকমা এবং এলাকাবাসীর পক্ষে সোনামুনি চাকমা ও রাঙ্গাবি চাকমা।
সভায় যুবনেতা বরুণ চাকমা বলেন, শহীদ মিঠুন চাকমার অবদান পাহাড়ের মানুষ কখনো ভুলে যাবে না। তিনি উচ্চ শিক্ষিত হয়েও ভুলে যাননি যে তিনি একজন নিপীড়িত জাতির সন্তান। তাই ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভুলে তিনি জাতির স্বার্থে আন্দোলনে যুক্ত হয়ে নিজেকে আত্মবলিদান দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মিঠুন চাকমা তরুণ প্রজন্মের এক অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার লালিত চেতনায় তরুণ প্রজন্ম আজ আন্দোলিত। মিঠুন চাকমা সর্বদা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অধিকারহারা মানুষের কথা বলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশ-বিদেশে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন, লেখালেখি করে জনমত গড়ে তোলার কাজ করেছেন। তাই মিঠুন চাকমা নিপীড়িত জনগণের কাছে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।
উল্লেখ্য, মিঠুন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে ইউপিডিএফে যোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি আদালত থেকে মামলার হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির প্রবেশ গেট থেকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে মিঠুন চাকমাকে তুলে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।