চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আইনজীবিদের মানববন্ধন নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে লংগদুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন লংগদু-দীঘিনালার মনের মানুষ এলাকায় আগুনে বসতঘরসহ পুড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ” বিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাবিপ্রবি'র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন এর পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশনস এন্ড ট্রেনিং (আইএমসিটি) বিভাগের প্রোগ্রামার দ্বীজেন্দ্র চন্দ্র দাশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন রাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। শিক্ষাকে ধারণ করে গবেষণা চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। গবেষণা লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্র এবং দেশ এগিয়ে যাবে এবং তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুস্থভাবে পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন সুস্থভাবে পড়াশুনা করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গবেষণায় বেশি জোর দিতে হবে। প্রচুর উদ্ভাবনী কাজ করতে হবে, নতুন নতুন প্রযুক্তির দিকে শিক্ষার্থীদের দাবিত হতে হবে। তাহলে আমি আশা করি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তরুণ প্রজন্ম আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গ্লোবাল সিটিজেন হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সক্ষম । যেন তারা স্মার্ট বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
রাবিপ্রবি'র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত-সম্মৃদ্ধ এবং সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা বলেন তিনি আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আস্থাশীল। আমরাও বিশ্বাস করি, তরুণদের হাত ধরেই প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত-সম্মৃদ্ধ এবং সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই তরুণদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী করে তুলতে হলে আমাদের আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনিয়োগ দরকার । কিন্তু আমাদের এই ছোট্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো নানা অবকাঠামোর, গবেষণার সরঞ্জামাদি সহ নানা ধরণের অভাব রয়েছে। সেজন্য আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে এইসব অভাব পূরণের আবদার করতে চাই । তাহলে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন এর পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় অনেক মনোযোগ দিতে হবে। যে শিক্ষার্থী যত বেশি সৃজনশীল চিন্তা করতে পারবে সে তত বেশি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। সেই সাথে নানা ধরণের সৃজনশীল চিন্তায় এ শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখতে হবে স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দিতে সক্ষম হবে। এগুলো থাকলে একটা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও যথাযোগ্য স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশনস এন্ড ট্রেনিং (আইএমসিটি) বিভাগের প্রোগ্রামার দ্বীজেন্দ্র চন্দ্র দাশ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের দেশের মানুষদের স্মার্ট হতে হবে। সরকারের প্রায় সব দপ্তরে এখন ডি-নথি চালু হয়েছে। এ ডি-নথির চালুর ফলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া সময় ও কাগজের সাশ্রয় হচ্ছে এবং বলাবাহুল্য এর মাধ্যমে প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।