বুধবার | ০১ মে, ২০২৪

রাঙামাটি শহরের টিন্ডটি এলাকা থেকে গ্যাসের গুদাম অপসারণের দাবি

প্রকাশঃ ০৩ জুন, ২০২৩ ০৪:৪০:৫১ | আপডেটঃ ০১ মে, ২০২৪ ০৭:৫৯:২০  |  ৪৭৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাসের গুদাম  অপসারণ এবং জানমালের রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙামাটি শহরের টিএন্ডটি এলাকার সচেতন মানুষ। শনিবার সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৩১মে দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনর্টা দিকে রাঙামাটি শহরের টিএন্ডটি এলাকায় হঠাৎ করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫টি দোকান পুৃড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে ঘটনাস্থল এলাকায় সহস্র মানুষের বসবাস। এ ধরণের অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী সচেতন রয়েছে। এইজন্য উক্ত ঘটনাস্থল এলাকায় মৃত মো. এনামুল এক এর মালিকানাধীন তিনটি দোকান এবং জিন্নাত আলীর ৪টি  দোকানসহ মোট ৯টি দোকান ভাড়া নিয়ে জসীম উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ী বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য আনুমানিক ২-৩হাজার গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখেছেন। ওইদিনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গ্যাস মজুদের গুদামটিও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো।

অগ্নিকান্ডের ঘটনা পর এমন জনবহুল এবং ঘনবসতি এলাকায় এমন বিস্ফোরক দ্রব্য রাখায় সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন বলে আশংকা প্রকাশ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। তাই জানমালের ক্ষতি এড়াতে উন্মুক্ত স্থান থেকে গ্যাসের গুদামটি অপসারণের জোর দাবি জানানো হয়।

এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. হাসান মুরাদ, মনোয়ারা বেগম, সো. আবছার  উদ্দিন, মো. আবু বক্কর, মো. খোরশেদ আলম এবং মো. রবিউলসহ স্থানীয় লোকজন।


জসীম উদ্দীনের বক্তব্য
এদিকে  জসীম এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ব্যবসায়ী  জসিম উদ্দিন বলেন, আজকে যারা সংবাদ সম্মেলন করে আমার গ্যাস ব্যবসা সসম্পর্কে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয় এবং ভিত্তিহীন। কারণ আমি এখানে দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। আর যারা অভিযোগ করেছে তারা এলাকাবাসী নন। তারা আমার নিকট আত্মীয়। তাদের একজন হাসান মুরাদ আমার সম্মোন্ধী হন।  আরেকজন মনোয়ারা আমার ফুফু শাশুরী হন। অপরজন আমার ফুফা শশুর হন। উপস্থিত অন্যরা আমার আত্মীয়। এখানে গ্যাস গুদাম ঘর অবৈধ যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মূলত এখানে জায়গার মালিক রাজা মিয়া তালুকদারের মৃত্যুর পর তার ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের মধ্যে জায়গা দখল-বেদখল নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিরোধ বিষয়টি আঁড়াল করার জন্য গ্যাসের গুদাম ঘরকে অবৈধ  ও ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ সর্ম্পূন্ন ভিত্তিহীন। কারণ আমি বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সসহ সব নিয়ম মেনে নিরাপত্তার সহিত ব্যবসা পরিচালনা করছি বিগত ২০বছর ধরে। আমি কল্যাণপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হওয়ায় পুড়ে  যাওয়া দোকানঘর পুন:নির্মান করে দেওয়ার কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে আমার ব্যবসা সর্ম্পূন্ন বৈধ।


রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions