রবিবার | ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঈদের ছুটিতে আশানারুপ পর্যটক নেই বান্দরবানে

প্রকাশঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০৮:৫২:৩৭ | আপডেটঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৮:১৮:৩৫  |  ৪৭১
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান।প্রতি বছর ঈদের সময় বান্দরবানের মেঘলা,নীলাচল,নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটনগুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কয়েকদিনের চরম তাপদাহ আর বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় এবার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের আমেজ তেমন নেই, তবে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আশাবাদ শীঘ্রই জমজমাট হবে বান্দরবানের পর্যটনখাত।

প্রতি বছরে ঈদের ছুটি কিংবা কোন সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব এলেই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। কিন্তু কয়েকদিনের চরম তাপদাহ আর ৩টি উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার কারণে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঈদের দিন থেকে বান্দরবানে এবার পর্যটকের আগমন ঘটেছে তুলনামুলক কম।

তবে ভ্রমনপ্রিয় যেসব পর্যটকেরা এই সময়ে বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছে তারা পাহাড়, নদী আর প্রকৃতির অপরুপ রুপ দেখে বিমোহিত হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে মেঘলা,নীলাচল,শৈল প্রপাত, নীলগিরি, চিম্বুক ভ্রমন করে ঈদের আনন্দ সবার সাথে নিচ্ছে ভাগ করে।

রাজশাহী থেকে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী মো.জামান জানান, এবারের ঈদে বান্দরবান বেড়াতে এসেছি, এর আগে কয়েকবার এসেছি বেড়াতে তবে এবার পর্যটকদের পরিমান খুবই কম আর ঘুরে অনেক মজা পাচ্ছি।

ঢাকা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক তমাল জানান, ঈদুল ফিতরের বন্ধে এবার বান্দরবান আসলাম খুব মজা হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে পাহাড়,প্রকৃতি আর নদী দেখে পরিবারের সবাই খুশি। পর্যটক তমাল আরো জানান,বান্দরবানের সব উপজেলায় এবার ঘুরার ইচ্ছা রয়েছে তবে কয়েকটি উপজেলা পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় আমরা সব উপজেলায় যেতে পারবো না।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে ২৪ ও ২৫ এপ্রিলের জন্য মাত্র ১০শতাংশ হোটেলের কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে, হাতেগোনা দু-চারটি কক্ষে পর্যটক রয়েছে বর্তমানে। জেলার তিন উপজেলায় (রুমা,রোয়াছড়ি,থানচি) পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় এবারের ঈদে আশানারুপ পর্যটক বান্দরবানে না আসলে ও দ্রুত এই অবস্থার উন্নতি হবে।

বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী আদিব বড়–য়া জানান, ঈদের দিন নীলাচলে মাত্র ৯শ জন পর্যটক প্রবেশ করেছে তবে অন্যান্য বছর এই সময়টা কয়েক হাজার পর্যটক নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমন করতে আসে। আদিব বড়ুয়া আরো জানান,এই পুরো বছরে বান্দরবানে পর্যটক কম ভ্রমনে এসেছে।


এদিকে বান্দরবানের আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কাজ করছে প্রশাসন, প্রতিটি পর্র্যটনস্পটে পর্যটকদের সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে টুরিষ্ট পুলিশ। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

ট্যুরিস্ট পুলিশ,বান্দরবান জোন এর ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে জঙ্গী আর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলমান থাকার কারণে পর্যটকদের ভ্রমনে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, এবং সর্বশেষ ১৫মার্চ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের রোয়াংছড়ি,রুমা ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণে নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন,তবে এই তিন উপজেলা ছাড়া বাকি ৪ উপজেলায় পর্যটকরা অনায়াসেই ভ্রমণ করতে পারছে। তিনি আরো বলেন,বান্দরবানের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পযাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ এর সদস্যরা দিনরাত পর্যটকদের সেবায় বদ্ধপরিকর।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions