সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)। রাঙামাটির লংগদুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লংগদু থানা কমিটির উদ্যোগে উপজেলার জেএসএস প্রত্যাগত সদস্যবৃন্দ এবং থানা, ইউনিয়ন ও গ্রাম শাখার জেএসএস, মহিলা সমিতি ও যুব সমিতির কর্মীবন্ধুদের নিয়ে এ কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির লংগদু থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমার সঞ্চালনায় এবং ভূমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বিনয় প্রসাদ কার্বারীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক যিশু চাকমা।
এছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংততি সমিতির প্রত্যাগত সদস্য অয়ন্তিময় চাকমা, থানা যুব সমিতির সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা ও মহিলা কার্বারী নতুনা চাকমা।
স্বাগত বক্তব্যে যিশু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও ভালো নেই। সরকারের একটি বিশেষ মহল চুক্তি বিরোধীদের ব্যবহার করে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে নচেৎ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জনসংহতি সমিতির সাথে জড়িত সকল নেতা কর্মীদের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করেছে। জুম্ম জনগণ বর্তমানে খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে।
ভারত প্রত্যাগত সদস্য অয়ন্তিময় চাকমা বলেন, চুক্তির আগে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সাথে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দীর্ঘ স্বশস্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘটিয়ে অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে সরকার আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে, আজকে আমাদের পার্টির বয়স ৫০বছর পূর্ণ হলো, অপরদিকে সরকারের সাথে পার্টি তথা জুম্ম জনগণের চুক্তি ২৫বছর অতিবাহিত হয়েছে। আজ পর্যন্ত চুক্তির মূল ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা চুক্তির আওতায় অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ জমা দেইনি। ছাত্র-যুব সমাজ তথা কর্মীদেরকে চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
যুব সমিতির সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার জন্য দেশের মানচিত্রে পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে অক্ষুন্ন রাখতে হলে ছাত্র-যুব সমাজের কোন বিকল্প নেই। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য ছাত্র-যুবকদের পার্টির চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান করেন।
মহিলা কার্বারী নতুনা চাকমা বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি নারী সমাজকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে হলে পুরুষদের শতভাগ আন্তরিক সহযোগিতা দরকার, তা না হলে নারীদের এগিয়ে আসা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিনয় প্রসাদ কার্বারী বলেন, আমাদের সবাইকে হটকারীতা ও পলায়ন বাদীর চিন্তা পরিহার করে মূখ্য শত্রু নির্ণয় করে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে সামিল হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতির সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান করেন।