প্রশাসনের কর্মকান্ডে গতিশীলতা করতে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম : জেলা প্রশাসক স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে পিসিসিপি'র বিক্ষোভ ঢাকায় “সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার” মিছিলে হামলার ঘটনায় পিসিপির নিন্দা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বিক্রেতা আটক রাঙামাটি বধির ও অন্ধ কল্যাণ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উৎসব
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে পাহাড়ীদের অন্যতম সামাজিক উৎসব বৈসাবি। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিঝু উৎসবের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি উৎসব। বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নানা অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে।বুধবার সকালে শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। খাগড়াছড়িতে বসবাসরত বিভিন্ন পাহাড়ী ও বাঙালী সম্প্রদায় নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পোষাকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।শোভাযাত্রা ও বৈসাবির বিভিন্ন উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: নুরুল আমিন। এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রি: জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পৌর টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। টাউন হল প্রাঙ্গণে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাওতাল ও বাঙালী জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে ডিসপ্লে করে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় নদী, খাল ও ছড়াতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে চাকমা জাতিগোষ্ঠীরা শুরু করবে বিজু উৎসব। চাকমা লোকরীতিতে এটিকে ফুল বিজু বলা হয়। পরের দিন মূল বিজু। এছাড়া বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী বৈসু উৎসব পালন করে। মারমা সম্প্রদায় বাংলা নববর্ষের দ্বিতীয়দিনে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে থাকে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, পাহাড়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ নিরাপদে পালন করার লক্ষ্যে পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।