জঙ্গি ও কেএনএফের ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির, পরবর্তী তারিখ ১৪ ডিসেম্বর
প্রকাশঃ ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০৫:৫৪:০৭
| আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:১৪:৫৬
|
৯৫২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। স¤প্রতি বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন থেকে র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে রাঙামাটির একটি আদালতে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীনের আদালতে তোলা হলে আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী ও পরিবারের সদস্য উপস্থিত না থাকায় বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী ধার্য্য তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের জেলে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো- সৈয়দ মারুফ, রফু মিয়া, কাউসার শিশির, আবু বক্কর সিদ্দিক, ইমরান হোসাইন, জাহাঙ্গীর আহমদ, ইব্রাহিম আলী, মালসম বম, স্টিফেন বম, জৌথান স্যাং বম, লাল রৌসাং বম, লাল জৌখুম বম, লাল কিপ পাংখুয়া, লাল লিয়ান খুম বম, লাল খোনাতিয়াম বম, লাল হিমসাং বম ও শলোমন বম। এরা সকলেই সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়-এর সদস্য।
রাঙামাটি কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৭ জন জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী ধার্য্য তারিখ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার ৭ সদস্য ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩ জন ও পরবর্তীতে আরো ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে রাঙামাটির বিলাইছড়ি থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (সংশোধনী-২০১৩) মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয় এর সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতো।