রবিবার | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ফলোআপ

রাসেল হত্যাকান্ড : একাধিক সূত্র ধরে মাঠে পুলিশ

প্রকাশঃ ৩০ মার্চ, ২০১৮ ০৯:০৪:৫৩ | আপডেটঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৪:৫১:২৫  |  ৯৩২

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া ছাত্রলীগ কর্মী মো: রাসেল হত্যাকান্ডেরএকাধিক সূত্রকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানায় নিহত রাসেলের মা খোদেজা বেগম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের পর এজাহারভুক্ত আসামীসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, একাধিক দিক থেকে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তন্মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, কিশোর অপরাধ ও মাদক সেবন কিংবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার মতো একাধিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সম্ভাব্য অনেক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে পুলিশের একাধিক দল মাঠে সক্রিয় রয়েছে। নিহত রাসেলের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী ও প্রতিপক্ষের সাথে তার কোন বিরোধ ছিল কিনা সেসব বিষয়ও প্রাধান্য পাচ্ছে তদন্তে।
তবে নিহত রাসেলের রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই হত্যাকা-কে রাজনৈতিক হত্যাকা- বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে রাসেল হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা সমর্থকরা। পরের দিন শুক্রবার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হত্যাকা-ে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচির আয়োজন করেছে সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের সমর্থকরা।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, রাসেল হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ একাধিক সূত্রকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের গোপনীয় রক্ষার্থে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে এখন কথা বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর ব্রিজ এলাকায় ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো: রাসেলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের মা খোদেজা বেগম খাগড়াছড়ি সদর থানায় গত ২৫ মার্চ খাগড়াছড়ি পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলমসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions