শুক্রবার | ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

রাঙামাটি শহরে বন্দুকভাঙা ভূমি রক্ষা কমিটির মানববন্ধন

প্রকাশঃ ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৬:৫২:৪৮ | আপডেটঃ ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ ১০:৩৬:০২  |  ৮০

প্রেসবিজ্ঞপ্তি । রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মারিচুকে ভূমি বেদখল করে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে এবং ধুতাঙ্গ মৌন অরণ্য কুটিরের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর প্রতিবাদে রাঙামাটি সদরে মানববন্ধন করেছে বন্দুকভাঙা ভূমি রক্ষা কমিটি।

আজ ১০ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার দুপুর ১২টার সময় পুরাতন বাসস্টেশনের ফিসারী বাঁধের মূল সড়কে আধা ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বন্দুকভাঙ্গা ভুমি রক্ষা কমিটির সদস্য আলো জীবন চাকমা।

লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন  আমাদের বন্দুকভাঙা-যমচুক-মারিচুক এলাকাটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ একটি অঞ্চল। অথচ আমরা জানতে পেরেছি তা সত্বেও এখানে জমি বেদখল করে একটি নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ক্যাম্পের জন্য যাদের জমি বেদখল করা হতে পারে বলে আমরা জেনেছি, তারা হলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ শান্তি কুমার চাকমা, লক্ষী কুমার চাকমা, বয়স ৭৫, শান্তি রঞ্জন চাকমা, বয়স ৫৫। তারা সবাই বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের নং ওয়ার্ডের অধীন ডেবাছড়া (মারিচুক মোন) গ্রামের বাসিন্দা। তাদের জমির পরিমাণ প্রত্যেকের একর করে মোট ১৫ একর। তাদের পিতামহ আগার পেদা চাকমা কাপ্তাই বাঁধের কারণে উদ্বাস্তু হয়ে হারিক্ষ্যং-এর চেঙ্গীপাড়া থেকে বর্তমান মারিচুক পাহাড়ে এসে জুম চাষ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই জমিতে তাদের লাগানো বিভিন্ন ফলজ, বনজ, ঔষধী গাছ সেগুন বাগান রয়েছে। এই জমি দখল করে ক্যাম্প করা হলে তাদের জীবন ধারণের আর কোন উপায় থাকবে না।

মানববন্ধন থেকে সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো:

) অবিলম্বে মারিচুক মোনে বা পাহাড়ে জমি বেদখল করে নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।

) উক্ত এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে হবে।

) গ্রামবাসীদেরকে হয়রানি বিনা পারিশ্রমিকে জোরপূর্বক বেগার খাটানো বন্ধ করতে হবে।

) ধূতাঙ্গ মোন অরণ্য কুটির সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার বন্ধ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে কুটির সম্পর্কে যে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার জন্য ভান্তে কুটির কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা প্রার্থনা করতে হবে  সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংশোধনী দিতে হবে।

) যমচুকে হ্যালিপ্যাড নির্মাণের জন্য কেটে দেয়া সুপারি গাছের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জন্য কুটির কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং হ্যালিপ্যাড নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions