বৃহস্পতিবার | ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন হলেও উন্নয়ন প্রকল্পের স্থবিরতা কাটেনি

প্রকাশঃ ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:৩৬:০০ | আপডেটঃ ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:২৫:০৩  |  ২৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ মাস কেটে গেলেও এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বরাদ্দ পায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো। ৫ আগস্ট দেশে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ নভেম্বর পুরনো জেলা পরিষদ  ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এতে করে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক স্থবিরতা কাটলেও বিগত পর্ষদ থাকাকালীন সময়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো স্কিমগুলোর বিপরীতে কোনো বরাদ্দ ছাড় পাওয়া হয়নি। কার্যত অর্থনৈতিকভাবে এখনো থমকে আছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, গত ৭ নভেম্বর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন হয়েছে। পরিষদ পুনর্গঠনের পর এখনো মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই জানান, আমরা দায়িত্বগ্রহণের পর কোনো প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাইনি তবে আগের পরিষদের  প্রকল্প নেয়া আছে। মন্ত্রণালয় থেকেও কোনো বরাদ্দ আসেনি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার মুঠোফোনে কল দিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসব প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী বলেন, গত ৭ নভেম্বর তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে পরিষদের নতুন সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে স্কিম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পরিষদকে বরাদ্দ দিয়ে থাকি। নতুন পরিষদ পুনর্গঠনের পর তারা এখনো আমাদের কাছে কোনো চাহিদা জানায়নি। পরিষদের চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ অর্ন্তবতীকালীন সময়ের পুনর্গঠন করে সরকার। এতে রাঙামাটি জেলায় সাবেক কৃষি কর্মকর্তা কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান, বান্দরবানে জেলায় জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান থানজামা লুসাইকে চেয়ারম্যান এবং খাগড়াছড়ি জেলায় জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তবে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের পর থেকে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য ছাড়া বাকী ১৩ জন সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে নভেম্বও জুড়ে। খাগড়াছড়ি-বান্দরবান জেলা পরিষদের নতুন পর্ষদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

তবে প্রতি অর্থ বছরেই জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডে সেপ্টেম্বর মাসে বরাদ্দ আসে অক্টোবর নভেম্বর থেকে টেন্ডার হয় এবং নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এবছর ডিসেম্বর মাস চললেও নতুন অর্থ বছরের বরাদ্দ আসেনি, এতে কোন উন্নয়ন কাজ করতে পারছে না পাহাড়ের উন্নয়ন সংস্থাগুলো। 


রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions