রবিবার | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দী অন্তত ৩০ হাজার মানুষ

প্রকাশঃ ০২ অগাস্ট, ২০২৪ ০৭:০৬:৩৩ | আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৫:২৯:৪৮  |  ৩৯৭

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী মাইনী নদীর পানি বেড়ে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে খাগড়াছড়ি সদর দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সকাল থেকে যারা ঘরে অবস্থান নিয়ে পানি কমার অপেক্ষায় ছিলেন বিকেল থেকে পানি বাড়তে শুরু করায় বসতবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী নদীর নিম্নাঞ্চলে গঞ্জপাড়ায় অনেক নারী শিশু পানিতে আটকা পড়েন। বিকেলে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের উদ্ধারে কাজ করেন।


বিকেল টার দিকে ঘুরে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি শহরের গেইট থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত সড়কে পানিতে তলিয়ে গেছে। বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থাকা অনেক গাড়ি পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে। পৌর শহরের শান্তিনগর, মুসলিমপাড়া, খবংপুড়িয়া, কালাডেবা, মেহেদীবাগ, অর্পণ চৌধুরী পাড়া, রুখুই চৌধুরী পাড়া, টিটিসি সড়ক সহ চেঙ্গী নদী পাড়ের অন্তত দশটি গ্রামের হাজারও মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।


খাগড়াছড়ি ছাড়াও দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি বেড়ে মেরুং কবাখালী ইউনিয়নের হাজারও মানুষ পানিবন্দী। কবাখালী বাজার এলাকার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ। দীঘিনালা-লংগদু সড়কে পানি উঠায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা রামগড়ের অনেক এলাকাও। সবমিলিয়ে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগে পড়েছেন পাহাড়ী জেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।


খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক আরিফুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকে গঞ্জপাড়া এলাকায় ১৫ জনের মতো সেচ্ছাসেবক পানিবন্দীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। রাত সাড়ে টা পর্যন্ত জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু বৃদ্ধরা। এখন পর্যন্ত আরও হাজারও মানুষ আটকা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন প্রবল স্রোত নৌকা না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, আটকা পড়াদের উদ্ধারে মহালছড়ি থেকে বেশ কিছু নৌকা আনা হচ্ছে। নৌকা গুলো চলে আসলে উদ্ধার কার্যক্রম আরও দ্রুত করা সম্ভব হবে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনদের জন্য শুকনো রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions