রাঙামাটিতে আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবস পালন
প্রকাশঃ ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৭:৪১:৩০
| আপডেটঃ ০৮ জানুয়ারী, ২০২৫ ০২:৪১:৫১
|
৫৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাঙামাটির জনগন।
এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।
রাঙামাটিতে সরকারের পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবর্ক অর্পণ করেন।
পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ও রাঙামাটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শহীদবেদীতে পুস্পস্তর্ক অর্পণ করেন।
এছাড়াও কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর বেলায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান রাঙামাটির বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এদিকে মহান একুশে ফ্রেবুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও একুশের গান নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
পরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন হয়েছিলো ১৯৫২ সনের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। পাকিস্তানীরা যখন উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়েছিলো তখনই সালাম, বরকত, রফিক জব্বারসহ অনেক নাম অজানা তরুন বাংলা ভাষা মায়ের ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেতে নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো রাজপথে। এরপর ৬৯ দফা আন্দোলনসহ নানা সংগ্রামের মধ্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়।