সিএইচটি টুডে ডট কম, কাউখালী (রাঙামাটি)। রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়ার খাঁজা গরীবে নেওয়াজ ইটভাটা থেকে তিন শ্রমিক অপহৃত মামলাতে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। শনিবার মধ্যে রাতে রাঙামাটি চন্দ্রঘোনা উপজেলার লিচু বাগান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারকৃতরা হলেন,খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার বিনাজুরী পাড়ার আদোমং মারমার ছেলে ক্যমং মারমা (২২) ও বান্দরবান জেলার সোয়ালং ইউপির রোয়াজা পাড়া এলাকার মংলু মারমার ছেলে উক্যওয়াই মারমা (২০)।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে কাউখালী
থানায় ইটভাটা থেকে তিন
শ্রমিক অপহৃত মামলায় অজ্ঞাত
১০/১২ জনকে আসামী
করে অপহরণ মামলা দায়ের
করে ইটভাটা মালিকদের একজন
মোঃ ফারুক। এরপর
থেকেই সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে
পুলিশ । এরি
মাঝে অপহরণকারী চক্রটি মুঠোফোনে ইটভাটা
মালিক ফারুককে জানান ৩০লক্ষ টাকার
মুক্তিপণের বিনিময়ে চন্দ্রঘোনা উপজেলার লিচু বাগান এলাকা
থেকে তিন শ্রমিককে নিয়ে
যেতে। কিন্তু
মালিক পক্ষ ৩০লক্ষ টাকা
দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এক
পর্যায়ে ৫লক্ষটাকা দিতে রাজি হন। এই
সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে অভিযান
শুরু করে পুলিশ।
অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য মুক্তিপণের জন্য লিচু বাগান এলাকাতে অপেক্ষারত অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
কাউখালী থানার ওসি পারভেজ
আলী বলেন, ‘তিন শ্রমিকের
অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার থানায় অপহরণ মামলা
দায়ের করেছেন ইটভাটা মালিক
মোঃ ফারুক। এতে
অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে
আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব
দিয়ে মাঠে নামে এবং
শনিবার মধ্যেরাতে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে
গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
আমারা আশা করছি খুব দ্রুত ভিকটিম তিন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পারবো এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত
রাত দুইটার দিকে একদল
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ইটভাটাতে এসে চাঁদা দাবী
করে। কিন্তু
মালিক পক্ষ তাৎক্ষনিক দাবি
করা চাঁদার টাকা দিতে
না পারায় ওই তিন
শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে
যায়। একইসাথে
চাঁদা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে
আনাসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
ইটভাটার সকল প্রকার কাজ
বন্ধ রাখার হুমকী দিয়ে
যায় সন্ত্রাসীরা।সে
ঘটনায় অজ্ঞাত ১০/১২
জনকে আসামী করে অপহরণ
মামলা দায়ের করে ইটভাটা
মালিকদের একজন মোঃ ফারুক
।