সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। শীতের শুরুতে ম্যালেরিয়া আর নিউমোনিয়ার পাশাপাশি জেলায় দেখা দিয়ে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু।
বান্দরবান জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্যমতে, বান্দরবানে জানুয়ারী মাস থেকে এই পর্যন্ত সর্বমোট ৮০৫জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে বান্দরবান সদরে ২৭১জন, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২১৭জন,আলীকদম উপজেলায় ১৭০জন,রুমা উপজেলায় ৪৭জন,থানচি উপজেলায় ৮৫জন,লামা উপজেলায় ১১জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪জন আক্রান্ত হয়েছে।
সুত্রে আরো জানা যায়,সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১০নভেম্বর বান্দরবান জেলায় নতুনভাবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় ২২জন। আর এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৯জন, রোয়াংছড়িতে ১জন, থানচি উপজেলায় ১০জন, আলীকদম উপজেলায় ২জন সনাক্ত হয়।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: এস এম ইকবাল হোসাইন বলেন, বান্দরবানে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই প্রায় ৩০-৪০ জন রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রক্ত পরীক্ষা করছে। অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: এস এম ইকবাল হোসাইন আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের সকলকে ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে এবং মশা যাতে না কামড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। জ্বর,শরীর ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে দেরী না করে নিকটতম হাসপাতাল গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ সেবন করতে হবে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা: নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, বান্দরবানে দিন দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ রোগ নিয়ে অসতর্কতা, অবহেলা ও অজ্ঞানতা লক্ষণীয়। প্রথমবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তেমন সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে আবার আক্রান্ত হলে রোগীর সমস্যা মারাত্মক হয়। সিভিল সার্জন আরো বলেন,অবশ্যই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে মশার কামড় হতে রক্ষা করতে হবে,বাড়ীর আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, দিনের বেলায় ফুলহাতা কাপড় পরিধান করতে হবে,পরিধেয় বস্ত্রের উন্মুক্ত অংশে মশা বিতারক ক্রিম, লোশন ব্যবহার করতে হবে এবং সর্বোপরি সকলকে সচেতন থেকে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।