রবিবার | ১৯ মে, ২০২৪

আছিয়া বেগম জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২৮ জুলাই, ২০২০ ১১:৫২:৫৭ | আপডেটঃ ১৯ মে, ২০২৪ ০৯:৫৩:২২  |  ১০১১
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে অবৈধ দখলদারদের তান্ডবে অতিষ্ঠ এক গ্রামবাসী। জমি বেদখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আটকের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রামের সাধারণ লোকজনকে নানা হুমকি দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করছেন  গৃহকত্রী আছিয়া বেগম। রাঙামাটি সদরের বালুখালী ইউনিয়নের সাপমারা পাহাড় বাঙালিপাড়ার বাসিন্দারা এসব অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।

দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেজাম উদ্দিন ফকির, লাল মিয়া, জামাল হোসেন, জয়নাল, জসিম উদ্দিনসহ ওই গ্রামের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা বলেন, আছিয়া বেগম রাঙামাটি সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পরিচয় দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখিয়ে নানা অপকর্মে জড়িত। তার সঙ্গে স্বামী আবু আলম, ছেলে সোহেল ও সুমনসহ জড়িত থেকে গ্রামে বিভিন্ন তান্ডব ও ত্রাসের রাজত্ব করে চলেছেন। তারা অসামাজিক কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, জমি বেদখল, কাপ্তাই লেকের মাছের ঘের দখলসহ নানা অপকর্মের তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বর্তমানে কেপকো আজিজ কোম্পানির গোটা আট একর জায়গা বেদখল করে নিয়েছে। কোম্পানিটির বাগানের গাছ কেটে পাচার করছে। এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেপকো আজিজ কোম্পানিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিক মামলা করেছেন। এসব মামলায় আছিয়া বেগম, স্বামী আবু আলম ও ছেলে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে জামিনে ছাড়া পান আছিয়া বেগম। ছাড়া পেয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনকে নানা হুমকি ধমকি দিয়ে হেয়, হেনস্থা করে ত্রাসের সৃষ্টি করছেন। উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় তাদের তান্ডব বেড়েই চলেছে। আমরা তাদের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।

অপরপক্ষে আছিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, নেজাম উদ্দিন ফকির ও লাল মিয়া আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। আমি একজন মহিলা কারবারি (গ্রামপ্রধান) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমি কারও ক্ষতি করিনি। আমি ও আমার পরিবার কোনো রকম দুর্নীতিতে জড়িত নয়। নেজাম উদ্দিন ফকির ও লাল মিয়া আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলহাজতে দিয়েছেন। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি যে জায়গায় বসবাস করি, সেটি সম্পূর্ণ খাস। সেখানে কেপকো আজিজ কোম্পানির কোনো জায়গা নেই।

এদিকে জমি বেদখলের অভিযোগে ২১ জুলাই আছিয়া বেগম (৫২) ও তার স্বামী আবু আলমকে (৬০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার করা হয় তাদের ছেলে সোহেলকে (২৮)।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. কবির হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কেপকো আজিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জোবায়ের ইকবাল দায়ের করা কোম্পানির জায়গাবে দখল করার অভিযোগে স্ত্রী আছিয়া বেগম, তার স্বামী আবু আলম ও ছেলে সোহেলকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেয়া হয়। পরে আদালত থেকে জামিন পায় আছিয়া।  আবু আলম ও তার ছেলে সোহেল এখনও জেলহাজতে।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions