সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু থাকবে। পার্বত্য এলাকাসহ সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সমতলের মত পাহাড়েও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে।
আজ মঙ্গলবার রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার রিটার্নি অফিসার, সহকারি রিটানিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে মতবিনিময়কালে সিইসি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দাউদ উল ইসলাম, সেনাবাহিনীর তিন পার্বত্য জেলার ব্রিগেড কমান্ডার, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার, পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী, প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মোট ২৬ উপজেলা নিয়ে পৃথক তিনটি পার্বত্য সংসদীয় আসন ২৯৮-খাগড়াছড়ি, ২৯৯-রাঙামাটি ও ৩০০- বান্দরবান। আয়তনের দিক দিয়ে এ তিনটি আসন প্রতিটি বৃহত্তর এলাকা। প্রত্যেক আসনে দুর্গম এলাকায় রয়েছে ভোটকেন্দ্র। এসব কেন্দ্রকে দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি আমরা। তিনটি আসনে ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখের অধিক। তারা যাতে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে অবাধে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, সেজন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রতিটি এলাকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে। তিনটি পার্বত্য আসনের প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। ভোটারদের নিরাপত্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবািহনীর পর্যাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি থাকবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পুলিশ, বিজিবি, আনসারবাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া জনবল ও নির্বাচনী মালামাল আনা-নেয়ার কাজে দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সেনাাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া ওইসব দুর্গম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না।
মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে কি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং প্রচারণা চালাতে পারবে, সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে প্রচারণায় কাউকে বাঁধা দেয়া হচ্ছে না। এখানে রের্কড সংখ্যক প্রায় ১৮শ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। মাঝে মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে প্রার্থী সমর্থকদের মাঝে এগুলো আবার ঠিক হয়ে গেছে।
সিইসি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারে করে নির্বাচনী মালামাল আনা নেয়া করা হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রে সেনাবাহিনী থাকবে, তাদের ম্যাজিষ্ট্রেটি ক্ষমতা থাকবে না, কোথাও সমস্যা দেখা দিলে তারা সেটি নিয়ন্ত্রনে আনবে।