আচরণ বিধিমালা লংঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালামকে নোটিশ উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে রাঙামাটিতে যুবদলের লিফলেট বিতরণ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বান্দরবানে ৫ বিএনপি নেতা বহিষ্কার আলীকদমে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অবৈধ গরু ব্যবসায়ী হিসেবে প্রচার করলো বিএনপি নেতা মাটিরাঙায় কৃষি বিভাগের ১৪ লক্ষ টাকার সমলয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
মেহেদী হাসান সোহাগ,কাউখালী (রাঙামাটি)। চৈত্র দাবদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাঙামাটি কাউখালীতে দিনে-রাতে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লুকোচুরি খেলা। মাসজুড়ে বিদ্যুতের এই ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। রমজান মাসের শুরু থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ইফতার, সাহ্রি এমনকি নামাজের সময় অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা। প্রতি ১ঘন্টা পর পর চলে এই ভেল্কিবাজি। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। সন্ধ্যা নামলেই উপজেলা হয়ে উঠে ভূতরেঘর।
কাউখালী উপজেলাতে সাড়ে চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎএর চাহিদা থাকলে বিদ্যুৎ পাচ্ছে এক মেগাওয়াট। অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ ভেল্কিবাজিতে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন,কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে বেতবুনিয়া আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রো অফিস ঘেরায়ের হুমকি দিয়ে পোস্ট ও করছেন।বৈশাখের শুরু থেকেই দুঃসহ গরমের সঙ্গে দিনে-রাতে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। দিনে বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকে না। সব চেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিশু ও বয়স্করা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচন্ড গরমের যন্ত্রণায় প্রতিটি বাড়িতে শোনাযায় শিশুদের আত্মচিৎকার। স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম বিপাকে।।
এদিকে অতিরিক্ত গরমে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দীন জানান, রাঙামাটি সব কটি উপজেলাতে একি অবস্থা এই লোডশেটিং আমাদের হাতে নাই, এটি জাতীয় সমস্যা। বিভিন্ন-সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। আমরা তবুও চেষ্টা করছি গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে।
উদ্যোক্তা মোঃ ইউসুফ বলেন, আমার একটি পোলট্রি হ্যাচারি আছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দুটোতেই উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মুরগীর বাচ্চা মারা যাচ্ছে বেশি গরম আর বিদ্যুৎ দুইটার যে অবস্থা এতে করে ব্যবসায় বড় লোকশানের আশঙ্কা রয়েছে।
কাউখালী উপজেলার সদরের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম,জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ি আমরা। বিশেষ করে যাঁরা কম্পিউটারের দোকাদার তাঁদের। বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে কখন আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। আমরা কম্পিউটারে কম্পোজ, ফটোকপি করি। এগুলো বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ হয় না। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও করা যায় না।
কলেজশিক্ষার্থী রাকিব
হোসেন
ক্ষোভ
প্রকাশ
করে
বলেন,
‘সারা
দিনে
কখন
বিদ্যুৎ আসে
আর
কখন
চলে
যায়,
কেউ
টের
পায়
না। সারা
দিন
রোজা
রেখে
রাতে
পড়াশোনা করা
যায়
না,
বিদ্যুৎ থাকে
না। আমরা
এর
স্থায়ী
সমাধান
চাই।’
এ ব্যাপারে বেতবুনিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ,বিউবো,উপ-সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী মো. লাহরী খাঁন জানান,এটি একটি জাতীয় সমস্যা তবুও ইফতার, সাহ্রি ও নামাজের সময় যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রাহককে তাই শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।