শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্ত হামলায় নিহতদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন

কাল খাগড়াছড়িতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ, কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি: এখনো মামলা হয়নি

প্রকাশঃ ১৯ অগাস্ট, ২০১৮ ০১:০৫:০১ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৮:১৭  |  ১১৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর ও পেরাছড়া এলাকায় শনিবার  সন্ত্রাসী হামলা ও   ব্রাশ ফায়ারে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। জনপ্রতিনিধিসহ ভয়ে কেউই মুখ খুলতে রাজী হয়নি ।  স্বনির্ভর বাজারের দোকানপাট আজও বন্ধ রয়েছে। তবে, বন্ধ থাকা খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে আজ  রোববার সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থতি উত্তরনে কাজ শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত টীম ইতি মধ্যে কাজ শুরু করেছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী ধরতে সেনা,পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর  সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।  সন্ত্রাসী হামলার ও প্রাণহানির ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমাসহ ৭ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে কাল সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আধা বেলা সড়ক অবরোধ ডেকেছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ,গণতান্ত্রিকযুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ তিনটি সংগঠন।

সন্ত্রাসী ঘটনায় নিহত ৭জনের মধ্যে ৪জনের লাশ শনিবার রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি সংগঠনগুলোর তিন নেতার লাশ নিতে পরিবারের কেউ থানায় না আসায় রবিবার বিকেলে পুলিশ প্রহরায় দক্ষিন খবংপুড়িয়া হয়ে চেঙ্গী নদীর পাড়ে পৌছিয়ে দেয়া হয়। সেখানে পরিবারের সদস্য  ও দলীয় লোকজন মরদেহ গ্রহন করে চেঙ্গী ওপারে নিয়ে স্থানীয় স্বশানে দাহক্রিয়া সম্পন্ন করে। মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী জিতায়ন চাকমা ও  এইচ এস সি পরীক্ষার্থী রুপম চাকমার মরদেহ  খবংপুড়িয়া শ্বশানে, প্রকৌশলী ধীরাজ চাকমার মরদেহ পানছড়িতে এবং বৃদ্ধ শন কুমার চাকমার চাকমার মরদেহ পেরাছড়া এলাকায় দাহ করা হয়।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী ধরতে সেনা,পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে রবিবার সকাল থেকে যৌথবাহিনীর  সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেলে জেলা শহরের গিরিফুল, ১নং যৌথ খামার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিপুল সংখ্যক যৌথবাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশগ্রহন করলেও  কাউকে আটক বা অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান জানান,যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্রধারী,মাদক, সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। শহরের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী কার্যক্রম চলবে। জনমনে যেন স্বস্থিরভাব ফিরিয়ে আসে তার জন্যই এ অভিযান।৭ দিনের এ অভিযান ,প্রয়োজনে এর সময় বর্ধিত করা হবে। শনিবারের হামলার ঘটনায় এসএমসিমত স্বয়ক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারকে মামলা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে, তবে উপযুক্ত বাদী পাওয়া না গেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।

স্বনির্ভর এলাকায় ব্রাশ ফায়ারে  হত্যাকান্ডের ঘটনায় খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম শনিবার  সন্ধ্যায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম ) আবু ইউসুফকে আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ  মো: শামছুল তাবরীজকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত  কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, খাগড়াছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন মজুমদার।
জেলা প্রশাসকসহ এ কমিটি রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক জানান,আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বিশেষ সভা করে আইন শৃঙ্খলা স্বাবাবিক করার কৌশল নির্ধারন করা হয়েছে।এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,সরকারী কর্মকর্তারা যাতে নিবিগ্নে কাজ করতে পারে তার জন্য সভা করে তাদের অশ্বস্থ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions