শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে পুলিশের ২ এসআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশঃ ১৮ জুন, ২০২১ ০৩:৩২:২০ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫৭:০৩  |  ১২০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি কোতয়ালী থানার দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। আজ বিকালে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোসন বেগম গয়না। এসময় মো: রুবেল, রোমান, মুক্তা আক্তার, আলেয়া বেগমসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শহরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ও  ভুক্তভোগী জোসনা বেগম গয়না অভিযোগ করেন, গত ১৫ জুন বিকালে আমি প্রতিদিনকার মত বিকালে নদীর ঘাটে হাঁড়ি পাতিল মাঝতে যাই, ঘাটে আমি একা ছিলাম, সে সুবাদে ২/৩জন অপরিচিত লোক এসে আমার পরিচয় জানতে চায় এবং আমার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানের দিকে তাকায়  এবং মারধর করতে করতে বলে ২ লক্ষ টাকা দিবি না হলে মাদকের মামলায় ডুকিয়ে দিব। এরপর পুলিশের কিছু সদস্য এসে মহিলা পুলিশ ছাড়াই আমাকে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মারধর করে এবং থানায় নিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় এসআই ওসমান গণি ও জুলফিকার আলী অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

অপর ভুক্তভোগী বক্স রুবেল জানান, আমি মৌসুমী ফল ও কাঠের ব্যবসা করি, ঘটনার সময় মালামাল চট্টগ্রাম নিতে ব্যস্ত ছিলাম। কোথায় কি হয়েছে জানি না, অথচ আমাকে আসামী করা হয়েছে, আমি ১৬ জুন আদালত থেকে জামিন নেই। পুলিশ অকারণে আমাদের হয়রানি করছে।

বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার এসআই জানান জুলফিকার আলী জানান, গত ১৫ জুন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মাদক ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনকে ধরতে আমরা অভিযান চালাই এবং ধরেও ফেলি,কিন্তু ৮/১০জন লোক এসে আমাদের কাজে বাঁধা প্রদান করে আসামী ছিনিয়ে নেয়, একারণে তাদের নামে সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় পেনাল কোডের ১৪৩/১৮৬/১৮৯/৩৩২/৩৫৩/৩৪ ধারা মামলা করা হয়েছে। টাকা দাবির বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে এসআই ওসমান গণির বিরুদ্ধে মানুষকে মাদক এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পুরানো। এক মামলায় কোন আসামী একবার গ্রেফতার হলে অন্য মামলাও তাকে আসামী দেখানোর অভিযোগ পুরানো, দীর্ঘদিন রাঙামাটি থাকার কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার সখ্যাতা গড়ে উঠার অভিযোগ রয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ী ঠিকমত মাসোহারা না দিলে অথবা ভালো হতে চাইলে তাকে অন্য মামলায় ফাঁসানো হয়, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

সম্প্রতি তাকে কাউখালীতে বদলি করা হলেও তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তার বদলি স্থগিত করান।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এসআই ওসমান গণির ব্যবহৃত নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে আসা পুলিশ মামলার ১৫জন আসামীরা স্বজনরা মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions