জাতীয় বন জরিপ সম্পর্কে রাঙামাটিতে অবহিতকরণ সভায়
কাপ্তাই হ্রদ তৈরির সময় কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না : দীপংকর তালুকদার এমপি
প্রকাশঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৭:৪৮:২৮
| আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৩:৫৮
|
৫৪০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, ‘পাহাড়ে আগে সাত-আটদিন টানা বৃষ্টি হলেও পাহাড়ধস হতো না। এখন পাহাড়ধস হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বরফগলার ফলে যে ক্ষতি হবে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। ষাটের দশকে কাপ্তাই হ্রদ তৈরির সময় কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। পানির নিচে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়া মানুষগুলো কোথায় থাকবে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এরপর মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বসতি স্থাপন শুরু করল। পরে দেখল বন বিভাগ দাবি করছে সেগুলো তাদের জায়গা।’
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের হলরুমে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বন বিভাগ রাঙামাটি অঞ্চলের সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার সিনিয়র কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সাহেদুজ্জামান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য নীলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহিদুর রহমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানাসহ আরও অনেকেই।
সভায় বক্তারা বলেন, এই পৃথিবীটা শুধু মানুষের একার নয়; সকল প্রাণির জন্যও। তাই আমাদের টিকে থাকলে হলে চারদিকের বৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। চারদিকের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। বন জরিপের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো আমাদের কী পরিমাণ বন ভূমি রয়েছে, কত ধরণের বন্যপ্রাণী রয়েছে; সেগুলোর তথ্য নিশ্চিত হওয়া। আমরা যদি এটি নিশ্চিত হতে না পারি তাহলে সংরক্ষণ করব কিভাবে।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা। সভায় রাঙামাটির বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানগণসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।