মুখর হয়ে উঠছে রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলো
প্রকাশঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৩:৩১:৩৩
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:১৬:৫২
|
২০৭৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই হাতছানি রাঙামাটির মন মাতানো চোখ জুড়ানো নৈসর্গিক আবেশ আর ঝরনা, হ্রদ, পাহাড়ের। স্বাভাবিক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। উঁকি পড়ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের। সাড়া মিলছে পর্যটকের। বাড়ছে লোকজনের আগমণ ও পদচারণা। এতে ধীর ধীরে মুখর হয়ে উঠছে রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলো। করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর জেলার সবকটি পর্যটন খুলে দেয় জেলা প্রশাসন। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে, জেলার বাঘাইছড়ির দুর্গম সাজেকভ্যালি। করোনায় বন্ধের কারণে রাঙামাটির পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ২৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিশির ভেজা শরতের আগমনি দিয়েই রাঙামাটিতে জমে ওঠে পর্যটন মৌসুম। উঁকি মেলে ভ্রমণপিপাসু লোকজনের। পদচারণা ঘটে বিপুল পর্যটকের। এবার দীর্ঘ ৫ মাস পর জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হলেও প্রথম দিকে পর্যটকের আনাগোনা ছিল কম। ভ্রমণে আগ্রহ থাকলেও মনে ছিল করোনার ভয়। তাই শুরুর দিকে তেমন সাড়া মেলেনি দূরের পর্যটকদের। এখন যথেষ্ট পর্যটক যাচ্ছেন রাঙামাটি। শুক্র-শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মুখর হয়ে উঠছে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে সরকারি নির্দেশনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্যতামূলক।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত মাসেই রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেন জেলা প্রশাসক। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে খুলে দেয়া হয়েছে জেলার বাঘাইছড়ির সাজেক রিসোর্ট, কটেজগুলো।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটন স্পটে যারা ঘুরতে যাবেন, তাদেরকে অবশ্যই সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাঙামাটিতে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সসহ রয়েছে অনেকগুলো স্পট ও দর্শণীয় স্থান। এসব পর্যটন স্পটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগমণ ঘটে প্রচুর পর্যটকের। এ বছর করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে লোকসান গেছে অন্তত ২৫ কোটি টাকা। শনিবার সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সসহ শহরের কয়েক স্পট ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব স্পটে দূরের পর্যটকসহ যথেষ্ট লোকজন ঘুরতে দেখা গেছে।
শারমিন আক্তার নামে এক পর্যটক বলেন, করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে বন্দি ছিলাম। এখন রাঙ্গামাটি ঘুরতে এসে খুবই আনন্দ লাগছে।
জেলা প্রশাসনের রাঙামাটি পার্ক ও জেলা পুলিশ পলওয়েল পার্কের টিকিট কাউন্টারে জানতে চাইলে কর্তব্যরতরা জানান, শুক্র- শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমণ বাড়ছে।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, বন্ধকালীন আমাদের কষ্ট হয়েছে। অনেককে ছুটিতে পাঠাতে হয়েছে। এরপরও আমরা পর্যটনটাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে ঠিক রেখেছি। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা পর্যটন চালু রেখেছি। পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স করোনাকালেও খোলা ছিল। কিন্তু পর্যটকের আনাগোনা কন্ধ ছিল। এখন পর্যটক এলে পর্যটনশিল্পে প্রাণ ফিরে পাবে।
দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় রাস্তা, অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে বেশ। এসব ক্ষতিতে ভ্রমনে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরা। এসব সংস্কারের পাশাপাশি বাড়তি কিছু সুবিধা বাড়ানোর প্রত্যাশা করেছেন পর্যটকরা।