সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বোডিং স্কুল অর্থাৎ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাসহ বিদ্যালয় বেশি প্রয়োজনীয় মনে করছেন রাঙামাটির নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমি কালকেই (রোববার) জেনেছি, রাঙামাটিতে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি শিক্ষকের পদ খালি। প্রাথমিক বিদ্যালয় তো শিক্ষার্থীদের জন্য ফাউন্ডেশন। এখানে পাহাড়ের ছেলে-মেয়েরা অনেক দূরদূরান্ত গিয়ে পড়াশোনা করে। আমি মনে করি এখানে বোর্ডিং স্কুল প্রয়োজন। আমি এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।
ডিসি হাবিব উল্লাহ বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ গরীব মানুষ, পাহাড়ি-বাঙালি সকলেই। লেক (কাপ্তাই হ্রদ) নিয়ে আপনারা আজীবন চলবেন, এটা ভুলে যেতে হবে। আপনার-আমার সন্তানকে বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে হবে। তাদের স্কিল দিতে হবে, তাদের স্কিল দিলে তারা ভালো কাজ করবে: বিদেশে যেতে পারবে। আমাদের সকলেই মিলে-মিশে চলতে হবে।
সভায় রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথসহ বিভিন্নজন বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলায় কর্মরত ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় রাঙামাটির সাংবাদিকরা জেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা, পর্যটন, অর্থনীতিকে প্রধান্য দিয়ে নতুন জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার (৮ ডিসেম্বর) নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় যোগদান করেন অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিসিএস (প্রশাসন) ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়।