লামায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা বান্দরবানে বৈশাখী টেলিভিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন চাঁদা না পাওয়ায় ত্রিপুরাদের বাড়িতে আগুন, বলছে পুলিশ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাঙামাটি চট্টগ্রাম ট্রাক মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রামেকে মনিরের নামে হল করার দাবিতে আজ রোববার সকালে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়াকে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
স্মারকলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি মোঃ হাবীব আজম এর নেতৃত্বে অধ্যক্ষ বরাবার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা পিসিসিপি'র সভাপতি মেহেরাজ হোসেন, সহ- সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ রহমান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সেদিনটি রাঙামাটিবাসীর জন্য যেমন আনন্দদায়ক ছিল, তেমনি দিনটি ছিল সমানভাবে বিভিষিকাময়। একদিকে মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন চলছিল অন্যদিকে রাঙামাটি শহরের বনরূপা থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত স্থানটি ছিল উপজাতীয় উগ্রবাদি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও তাদের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পিসিপি'র সন্ত্রাসীদের হিস্রতা আর উন্মত্ততার বিভিষিকাময় কেন্দ্র। কারণ সেদিন উগ্র উপজাতীয় একটি গোষ্ঠী চায়নি রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ হোক, তারা মেডিকেল কলেজ এর স্থাপন ও উদ্বোধনের বিরোধিতা করে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা শুরু করে।
সেদিন পিসিপি'র হিংস্র হামলায় তরুন যুবক মনিরের একটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়, আহত হয় জামাল হোসেন সহ অসংখ্য সাধারণ বাঙালিরা। হিংসা হানাহানির রেশ ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঙামাটি জেলার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শহরে কারফিউ জারি করা হয়। তিনদিন রাঙামাটি শহর ছিল নিরব নিস্তব্ধ এবং মৃত্যুপুরির মতো। মানুষ মেডিকেল কলেজ পাওয়ার সাথে সাথে কারফিউ দেখারও অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই ইতিহাস একদিন মানুষ ভুলে যাবে। ইতোমধ্যে অনেকই ভুলেও গেছেন। কিন্তু রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং থাকবে। সেদিন থেকেই দাবি উঠেছিলো রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস অথবা হলরুম যেকোন একটি মরহুম মনিরের নামে করা হোক। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষিত করা হয়েছে।
আমাদের দাবি হলো এভাবে উপেক্ষিত যাতে আর করা না হয় এবং আমাদের চার দফা দাবি সমূহ মেনে নেওয়া হয়। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা বিভিন্ন ধারাবাহিক কর্মসূচি আরো পালন করবে।
নিম্মে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি'র) রাঙামাটি জেলা শাখার চার দফা দাবি সমূহ।
১। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত করা।
২। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হলে সেখানে শহীদ মনিরের নামে একটি ছাত্র হল করতে হবে।
৩। শহীদ মনিরের পরিবার থেকে যে কোন একজনকে মেডিকেল কলেজে সরকারি চাকরি দিতে হবে।
৪। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে বাঙালিদের অবদান বেশী তাই চাকরি ও ভর্তি ক্ষেত্রে রাঙামাটির বাঙালিদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি'র রাঙামাটি জেলা কমিটির স্মারকলিপিটি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ গ্রহণ করেন।