সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সকল প্রাণীর হিতসুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি মঙ্গল কামনায় রাঙামাটির রাজবন বিহারে পরমপুজ্য শ্রাবক বুদ্ধ মহান আর্য্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১১তম পরিনির্বাণবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ভোর থেকে বিহারে সংরক্ষিত বনভান্তের দেহধাতুতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভিক্ষুসংঘসহ বৌদ্ধ পুণ্যার্থীরা।
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সকাল ৯টায় ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, প্যাগোডার উদ্দেশ্যে টাকা দান, বুদ্ধ পূজা, সীবলী পূজা, উপগুপ্ত ভান্তের পূজা, শ্রদ্ধেয় বনভান্তের পূজা, পিন্ড দান, হাজার প্রদীপ দানসহ নানাবিধ দানোৎসর্গ করা হয়। সকল প্রকার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ৫ মিনিট ভাবনা করা হয়।
বিহার পরিচালনা কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক মধুচন্দ্র চাকমা ও সহ-দপ্তর সম্পাদক বিজয়গিরি চাকমার সঞ্চালনায় ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজবন উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি দীপক বিকাশ খীসা। বনভান্তের অমৃতময় ধর্মীয় দেশনার উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মদেশনা দেন রাজবন বিহারের ভক্ষিু প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।
শ্রাবক বুদ্ধ পরমপুজ্য বনভান্তে ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙামাটি সদরের ১১৫ নং মগবান মৌজার মোরঘোনা নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রথীন্দ্র চাকমা। তিনি গৌতম বুদ্ধের পথ অনুসরণ করে ১৯৪৯ সালে গৃহত্যাগ করেছিলেন। দীর্ঘদিন বনের জঙ্গলে ধ্যান সাধনার মাধ্যমে অরহত্বের অলৌকিক জ্ঞান অর্জন করায় বিশ্বজুড়ে 'বনভান্তে' নামে পরিচিত। তিনি ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহাপরিনির্বাণ (দেহত্যাগ) লাভ করেন।