শুক্রবার | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মহিলা অপহরণের অভিযোগে ইউপি সদস্য সন্তোষ চাকমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

প্রকাশঃ ১৮ জুন, ২০২২ ০৭:২০:২৮ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৩:৫৫  |  ১৮৩১

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য কর্তৃক এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।


এ মামলায় আসামী সাপছড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সন্তোষ কুমার চাকমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গ্রেফতারী পরোয়ানার পর সন্তোষ কুমার চাকমা ঐ মহিলাসহ পলাতক আছেন। সন্তোষ কুমার চাকমা সাপছড়ি ইউনিয়নের গুইছড়ি এলাকার হালিপুন চাকমার ছেলে।


সাপছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রবীন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সন্তোষ দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে যোগাযোগ করছে না। সে একজনের স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে গেছেন এ অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। কিন্তু তাকে না পাওয়ার কারণে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না।


ঘটনার পর থেকে সে ইউনিয়ন পরিষদের আসছে না। সে এখন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছে। সে আসলে কোথায় আছে আমরা কেউ জানতে পারছি না। সন্তোষ কুমারের আসল বাড়ি গুইছড়িতে। সেখানে সে এখন আর অবস্থান করছে না। আগের এক স্ত্রী আছে। এ স্ত্রীর দুটো সন্তানও আছে। যে মহিলাকে নিয়ে সন্তোষ পালিয়ে গেছে বলা হচ্ছে সে মহিলার সাথে একটি তিন বছরের মেয়ে শিশু আছে। এখন দুটো পরিবার বেকায়দায় আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় আছি। তার সন্ধান পাওয়া জরুরী হয়েছে।


রাঙামাটি কোতয়ালী থানার সূত্র জানায় সাপছড়ি ইউনিয়নের মেম্বার সন্তোষ কুমার চাকমার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা থানায় পৌছেছে।


আদালতসূত্র জানায়, গত ২৩ এপ্রিল সন্তোষ কুমার চাকমা রাঙামাটি শহরের রাঙাপানী এলাকার ভাগ্যমনি চাকমার স্ত্রী মায়া চাকমাকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখেছে। এ ঘটনায় মায়া চাকমার স্বামী ভাগ্যমনি চাকমা আদালতে একটি মামলা করেছেন।


মায়া চাকমার স্বামী ভাগ্যমনি চাকমা বলেন ১৭ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন বিরোধ ছিল না। আমি আমার স্ত্রী সন্তান ফিরে পেতে আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছি।

মায়া চাকমার বড় বোন পরান সোনা, সন্ধ্যা চাকমা বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি আমাদের ছোট বোন মায়া চাকমা অপহরণ করেছে সন্তোষ কুমার। অপহরণের পর থেকে সন্তোষ কুমার চাকমা বিভিন্ন সময়ে আমাদের মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে। আমার বোনের সুখের সংসার ধংস করে দিয়েছে সন্তোষ কুমার। তার শাস্তি দাবী করছি।


রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন বলেন এ বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। খোঁজ নিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions