শনিবার | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

রেস্তোরায় ভাতের সাথে মদ না পেয়ে বান্দরবানে পুলিশ কর্মকর্তার তান্ডব

প্রকাশঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৫৫:৩৭ | আপডেটঃ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৫:৩৫  |  ৬৭৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মংনেথোয়াই ও তাঁর স্ত্রী ভাতের সাথে মদ চেয়ে না পেয়ে বান্দরবান শহরের একটি রেস্তোরায় হামলা চালিয়েছেন। এতে রেস্তোরার মালিকের স্ত্রী, শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়া এলাকার তোহজাহ রেস্তোরায় এই ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ছিল বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাইয়ের দ্বিতীয় দিন। কুমিল্লার এএসপি মংনিথোয়াই তাঁর স্ত্রী ও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তোহজাহ রেস্তেরায় ঢুকে ভাতের সঙ্গে মদ দিতে বলেন। রেস্তোরার মালিক শোঁয়েসাই মং তাঁদের ভাত দিতে দেরী হবে এবং মদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তাতে চটে যান এএসপি ও তাঁর স্ত্রী।

এসময় এএসপির স্ত্রী বলেন,  আমি এএসপির বউ, মদ এখনই দিতে হবে। না হলে দোকান বন্ধ করে দিব’ এই কথা বলার পর তাঁরা হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা রেস্তোরার মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এ সময় রেস্তোরার মালিকের স্ত্রীর কোলে থাকা শিশুটি মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। মারধর থামাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে রাতেই বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, পরে পুলিশ গিয়ে রেস্তোরাটি বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন রেস্তোরার মালিক শোঁয়েসাই মং (৩২), তাঁর স্ত্রী উম্যাশৈ (২৫), তাঁদের দুই বছরের সন্তান উখ্যাই, ভাই খিংসাই মং (৩৬) ও মা পাইনুচিং (৬৫)।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিদার বলেন,‘ আহতদের শরীরে দাঁতের কামড়ের দাগ রয়েছে। তা ছাড়া হাত-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিয়েছি ’।

এদিকে এই ঘটনা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবানে আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে এটাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার আখ্যা দিয়ে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী দাবি করেন, গতকালের অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি আজ পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে।

এদিকে রেস্তোরার মালিকের ভাই জসাই মারমা জানান, সকালে মীমাংসার জন্য জেলা পরিষদে বসলে ও সঠিক বিচার আমরা পায়নি, তাই আমরা আমাদের এডভোকেটের মাধ্যমে আদালতের কাছে এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাইবো। আমরা চাই দোষীদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions