কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বড়হরিনা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের রাঙাপানিছড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল (২৮ মার্চ) বৃস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ২ টায় দিকে আগুনে পুড়ে বিদ্যায়লটি ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ধারণা বিজু উৎসবকে ঘিরে এলাকার ছেলেমেয়েরা বাজি ফুটিয়ে উৎসব করার সময় সেই বাজির আগুন বিদ্যালয়ে পড়লে বিদ্যালয়টি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায়, এলাকার মানুষদের আথিক সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে এ বিদ্যালয়টি। দূর্গম অঞ্চলে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারনে ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছে। বিদ্যালয়টি দ্রুত নিমার্ণ করতে না পারলে সীমান্তবর্তী দূর্গম অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।
রাঙাপানিছড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পংখু চাকমা জানান,সামনের বিজু উৎসবকে ঘিরে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পটকা বাজি ফুটিয়ে উৎসব করছে। সেই পটকা বাজির আগুনে রাঙাপানিছড়া বে- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গতকাল (২৮ মার্চ) দুপুর আনুমানিক ২ টায় সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের টেবিল, চেয়ার, আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পূন পুড়ে গেছে। বিদ্যালয়টি দ্রুত নিমাণ করতে না পারলে সীমান্তবর্তী দূর্গম অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।
বড়হরিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা বলেন, রাঙাপানিছড়া বে- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গতকাল পুড়ে গেছে বলে আমিও জেনেছি। আমি সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করে কি ভাবে দ্রুত বিদ্যালয়টি নতুন ভাবে করা যায় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফোরকান এলাহি অনুপম জানান, স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত একটি স্কুল আগুনে পুড়ে গেছে বলে গত কালকে(২৮ মার্চ) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে।
আগুনে কিভাবে বিদ্যালয়টি পুড়ে গেছে বিষয়টি এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। কেউ কেউ বলছে বাজি ফোটানার সময় পুড়ে গেছে। এগুলো আসলে যাচাই-বাছাই না করে বলা সম্ভব না। আসলেই কি বাজির আগুনে পুড়ে গেছে কিনা, কোন নাশকতা বা দুর্ঘটনার কারনে কিনা এই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে বিদ্যালয়টি পুড়ে গেছে এটা নিশ্চিত। আমরা আমাদের সরকারি পক্ষ থেকে যা করনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা অবশ্যই নিবো। ইতিমধ্যে আমরা উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আমরা ব্যবস্থা নিবো।