বৃহস্পতিবার | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
আন্তর্জাতিক বন দিবসের সভায় কর্মকর্তারা

বনাঞ্চলে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের চোখ পড়েছে

প্রকাশঃ ২১ মার্চ, ২০২৪ ০৮:১৩:৩৫ | আপডেটঃ ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:০৯:৪০  |  ৩৬৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের চোখ পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ‘ফরেস্ট বিভাগের বনগুলোতে নন-ফরেস্ট বিভাগগুলো ব্যবহার শুরু করছে। সাধারণ মানুষ তো বনভূমি জবরদখল করছেই, এখন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেরও চোখ পড়েছে। কোথাও কোনো জায়গা না পেলে কিভাবে তারা বন বিভাগের ভূমি দখল করবে; সেদিকে তাকিয়ে থাকে। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই বনের দিকে বেশি হাত বাড়ায়। এটা প্রতিরোধ করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে। প্রতিটি অনাচার তুলে ধরতে হবে। এসব বিষয়ে চুপ থেকেও কোনো লাভ নেই।’

আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব অভিযোগ তুলেন বন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় রাঙামাটি অঞ্চল বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আন্তর্জাতিক বন দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘উদ্ভাবনায় বন, সম্ভাবনায় বন’। সভায় বন কর্মকর্তারা আরো বলেন, ‘কেবল আর্মস দিয়েই দেশ রক্ষা করা যায় না। পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির দিকেও নজর দিতে হবে। পরিবেশ টিকে থাকতে না পারলে মানুষের জীবনও সংকটে পড়বে। পাহাড়ে সেগুন গাছের একক বাগান থেকে সরিয়ে আসতে হবে। সেগুন বাগানের কারণে সারা বছর পাহাড় থেকে পানি আসে না, রিসোর্সগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। সব কিছু বনের অবক্ষয়ের জন্য হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক বন দিবসের এই সভায় ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রধান আলোচক ছিলেন অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল বনীকরণ বিভাগের ডিএফও মোহাম্মদ সোহেল রানা।

সভা থেকে জানানো হয়েছে, দেশে মোট ভূমির ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বন ভূমি রয়েছে; তারমধ্যে ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত। বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের ৪৩ শতাংশই পার্বত্য চট্টগ্রামে। শেষে রাঙামাটি বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে ফরেস্ট রোড প্রদক্ষিণ করে বন কর্মকর্তাদের বাসভবনের মুখে গিয়ে শেষ হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions