পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের
“পরিচালনা বোর্ড” এর ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ২য় সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশঃ ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:১৫:৪৯
| আপডেটঃ ১২ অক্টোবর, ২০২৪ ০৩:৫৩:৪৯
|
১১৯০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২৪খ্রি. সোমবার বেলা ১১ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ‘পরিচালনা বোর্ড’ এর ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ২য় সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত (অবঃ)জনাব সুপ্রদীপ চাকমা ।
সভার আলোচ্যসূচি ছিলো (১) গত ২১/০৯/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা; (২) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের ৩১ জানুয়ারি ২০২৪খ্রি. পর্যন্ত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং (৩) বিবিধ।
সভা শুরু করার পূর্বে চেয়ারম্যান উপস্থিত সকল বোর্ড সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং পরিচালনা বোর্ড সদস্যদের পরিচিত পর্ব শেষে সভাপতি অনুমতিক্রমে উপসচিব সদস্য প্রশাসনা জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন সঞ্চালনায় বিগত পরিচালনা বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ করে শোনান। তিনি বিগত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ ৩১ জানুয়ারি ২০২৪খ্রি. পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প/স্কিমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেন।
চেয়ারম্যান বলেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পার্বত্যাঞ্চলে দুর্গম এলাকাগুলো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বোর্ডের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দৃশ্যমান এবং সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বোর্ডের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশী। বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প/স্কিম বিশেষ করে কৃষি খাতে নির্মিত সেচ ড্রেইনসহ সবধরনে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের গুণগতমান যাতে সঠিক থাকে সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়কে দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে কিভাবে পরিচালনা করা যায় তার করণীয় নিয়ে মতামত উপস্থাপনের জন্য তিনি বোর্ড সদস্যদের নিকট অনুরোধ জানান। বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান যে, পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সময় আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা উচিত এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষা খাত থেকে থোক বরাদ্দ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে পরিচালনা করা যেতে পারে মর্মে সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার মধ্যে হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণ, পার্বত্য এলাকায় উৎপাদিত সৌসুমী ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, সোলার প্রকল্প, গাভী পালন প্রকল্প, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্প এবং ভুট্টা চাষ প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। সভায় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (যুগ্মসচিব) প্রশ্নের জবাব দেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস.এম ফেরদৌস ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা প্রমুখ সভায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প/স্কিমের কর্মকান্ডের দৃশ্যমান হওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতি আলোচনার শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ হুজুর আলী, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ এবং রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং উপস্থিত সকলের সুস্বাস্থ্য মঙ্গল কামনা করে সভা সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
সভায় বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (যুগ্মসচিব)সহ খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কল্যানময় চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এয়াছিনুল হক, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সিএমইউ জেনারেল ম্যানেজার পিন্টু চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, ডজী ত্রিপুরা তথ্য অফিসার, সাগর পাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।