সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বৌদ্ধধর্মীয় মহাসাধাক পরিনির্বাণপ্রাপ্ত ভদন্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১২তম পরিনির্বাণ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। হাজারো পুণ্যার্থীদের ভক্তি শ্রদ্ধায় বনভান্তের পরিনির্বাণবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটি সদরের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন ও পরে বনভান্তের অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করে বনভান্তের অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১২তম পরিনির্বাণ বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা রঙে তৈরি তোরণ ও বেলুনে সাজানো হয় গোটা বিহার এলাকা।
অনুষ্ঠানের দিনে সকালে বৌদ্ধ পতাকা উত্তোলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা, ত্রিপিটক পূজা, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, প্রদীপ পূজা ধর্মীয় সভাসহ ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা হয়। মালতি চাকমার অনুষ্ঠান পরিচালনার মধ্যেদিয়ে । পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন ঊষা চাকমা। বিহার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারন সম্পাদক রূপক চাকমা। উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণচক্র চাকমা।
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মদেশনা দেন, দীঘিনালা বন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধন মহাস্থবির ও যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ কল্যাণজ্যোতি মহাস্থবির। এসময় অন্যান্য ভিক্ষুর মধ্যে ধুতাঙ্গটিলা বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ দেবধাম্মা মহাস্থবিরও সাধনাটিলা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বুদ্ধবংশ মহাস্থবিরসহ অন্যান্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৌদ্ধধর্মীয় এ মহাগুরুর জন্ম ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙামাটি সদরের ১১৫ নম্বর মগবান মৌজার মোরঘোনা নামক গ্রামের এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে। তিনি মহামতি গৌতম বুদ্ধের পথ অনুসরণ করে ১৯৪৯ সালে গৃহত্যাগ করেছিলেন। যার পথ ধরে মহাপরিনির্বাণ লাভের মধ্য দিয়ে দেহত্যাগ করেন, ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি। জীবদ্দশায় আমরণ ছিলেন, রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন বৌদ্ধধর্মীয় এ মহাগুরু।