কাউখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে মো.ওমর ফারুককে বহিষ্কার পাহাড়ের কৃতি খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমাকে কে সংবর্ধনা দিলো কাউখালী বিএনপি বান্দরবানে শীতার্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে শীতবস্ত্র দিলো আশা খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিদগ্ধ রোগীর আত্মহত্যা চাকরী পুনঃবহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিডিআর সদস্য-পরিবারের মানববন্ধন
সাকিব আলম মামুন, সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)হ্রদ পাহাড়ের ঘেরা পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদুতে এক ভিন্ন রকম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় হরেক রকমের বাহারী এ পিঠার উৎসবে।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের হাজাছড়া এলাকায় শীতকালীন ঐতিহ্যের দৃষ্টিনন্দন এ পিঠা উৎস এলাকার যুবসমাজ ও পিঠা উৎসব কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
কনকনে শীতে গরম গরম হরেক রকম পিঠার স্বাদ নিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানা বয়সের হাজারো মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় পাহাড়ের এই পিঠা উৎসব।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ১২টি স্টলে দুপুর থেকেই সারিবদ্ধ চুলায় গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা তৈরী করছেন চিতই পিঠা, ভাঁপা পিঠা, কাটা পিঠা, বেণী পিঠা, কুসলিপিঠা, জামাই পিঠা, চন্দ্রহলি, বৌমুগ, পান, কুলি, পাটিসাপটাসহ অর্ধশতাধিক পিঠার সমারোহ একসঙ্গে নিয়ে চলেছে পিঠা খাওয়ার উৎসব।
জানা যায়, পৌষ আসলেই যেন পিঠার খাওয়ার ধুম পড়ে গ্রামে গ্রামে। শহুরে জীবনে যেন অনেকটা অপরিচিত এই দৃশ্য। তবে দুর্গম পাহাড়ের অন্যতম একখন্ড ভুমি লংগদুতে যেন এ এক ভিন্ন চিত্র। পৌষের শুরুতেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরী না করে পৌষ শেষে মাঘে এসে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, পিঠা উৎসব একটি অন্যরকম আনন্দের মেলা। এই উৎসবকে টিকিয়ে রাখতে হলে এরকম উৎসবের কোনো বিকল্প নেই।
পিঠা উৎসবে কথা হয় আল-আমিন ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পৌষ-পার্বণে বাঙ্গালীর ঘরে-ঘরে ও পাড়ায়-পাড়ায় পিঠা উৎসবের ধুম পড়ে। তাই এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও সহযোগিতায় এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। আপাতত এ উৎসব শুধু হাজাছড়ায় হলেও ভবিষ্যতে এ পিঠা উৎসব আমরা উপজেলা সদরে করবো।
আয়োজক কমিটির উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যের এই পিঠা উৎসব এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আর গ্রামে গঞ্জে আগের মত পিঠা তৈরী হয়না। বাচ্চারা এখন হাতের তৈরী পিঠার স্বাদ খুঁজে পায়না। ফলে ঐতিহ্যের পিঠা উৎসব আমার মনে বরাবরই দোলা দিয়ে যায়, তাই আমি চাই পিঠার কারিগর এবং পিঠার বাহারি স্বাদ সকলেই উপভোগ করুক।
এদিকে বিচারকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, মাইনীমূখ ন্যাশনাল হাসপাতালের চিকিৎসক আল মামুন ও সাংবাদিক আরমান খান সাধারণ মানুষ ও কারিগরদের উৎসাহিত করতে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী ৩টি দোকানকে যাচাই বাছাই করে জুলেখা ফুড পয়েন্টকে প্রথম, জসিম পিঠা হাউজকে দ্বিতীয় ও ফারুক পিঠা হাউজকে তৃতীয় স্থান নির্বাচিত করে পুরস্কার প্রদান করেন।