সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার বিকালে রাঙামাটিতে ভার্চুয়ালি জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শহরের শহীদ শুক্কর ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্যে দেন রাঙামাটি ২৯৯নং আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর। এসময় সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা প্রমুখ। জনসভায় বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামীলীগের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
জনসভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মছুা মাতব্বর বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর দু বছর পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাকলেও পরবর্তীতে রাঙামাটি ও বান্দরবানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল চারটি থেকে বেড়ে ৬টি দলে পরিণত হয়ে অস্ত্রবাজী বেড়ে যায়। পাহাড়ে সেনাবাহিনী,বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করছে। তবে এলাকায়শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানের গতি বাড়ানোর জন্য তিনি দাবী জানান।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের দোয়ায় পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে রাঙামাটি জেলা থেকে সর্ব প্রথম আপনাকে সংবর্ধনা দিতে চাই। রাঙামাটিবাসী আগ্রহভরে অপেক্ষা করে আছে আপনাকে প্রত্যক্ষভাবে দেখার জন্য।
সমাবেশে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নেতাকর্মী সবাইকে কাজ করতে ও নৌকাকে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নেতাকর্মী সবাইকে কাজ করতে হবে,যাতে নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে না পারে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে কাউকে কোনো রকম বাঁধা দেওয়া যাবে না। ভোটাররা যাতে অবাধে নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোট দিতে পারেন সে পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শান্তিচুক্তির ফলশ্রুতিতে পাহাড়ের যে উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।