চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আইনজীবিদের মানববন্ধন নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে লংগদুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন লংগদু-দীঘিনালার মনের মানুষ এলাকায় আগুনে বসতঘরসহ পুড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। দল থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে এবার ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট’ থেকে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা অমর কুমার দে। মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন অমর কুমার।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির রিটার্নিং অফিসার ও জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন তিনি।
“বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সূত্র মতে, ২০০০ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন লাভ করে। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হলো ছড়ি।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অমর কুমার দে বলেন, ‘আমি দল (আওয়ামী লীগ) থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম, দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী না হয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ইসির একটি নিবন্ধিত দল ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল হিসেবেই জানি।’
অমর কুমার দে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগে দুইবার সাধারণ সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অমর কুমার দে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে কেন্দ্রীয় হিন্দু ফেডারেশনের সহসভাপতি ও জেলা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো পদ নেই তার, যদিও রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একনামে পরিচিত তিনি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, দুঃসময়ে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন অমর। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতা হলেই হামলার লক্ষ্য ছিল অমর কুমার দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে সুসময়ে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে মূল্যায়নের বদলে বরং অবহেলা পেয়েছেন অমর। ধীরে ধীরে রাজনীতির মাঠে প্রভাব হারিয়েছেন তিনি।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন অমর কুমার। পরে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সবশেষ রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। সেবার অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছেন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন অমর কুমার।