রাঙামাটিতে বলাৎকারের অভিযোগে যুবকের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদন্ড
প্রকাশঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০৪:৫৯:২৪
| আপডেটঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০৭:৫০:৫৮
|
৬৭৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে আসামিকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা দন্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. ওমর সাদেক রিয়াদ ওরফে ওমর ফারুক (২১) জেলা শহরের শান্তি নগর (বাস টার্মিনাল) এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আদালতের রায়ে আসামিকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ বিধি মোতাবেক জমা দানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামির পরিশোধিত জরিমানার অর্থ মামলার শিশু ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন। জরিমানার অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে জেলাপ্রশাসককে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিধান অনুসারে আসামির মালিকানাধীন স্থাবর-অস্থাবর বা উভয় সম্পত্তি বিধি মোতাবেক ক্রোক ও নিলাম করে বিক্রয় অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ের আদেশে।
মামলার নথি সূত্র জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর আসামি ওমর ফারুক ১২ বছরের এক শিশুকে শান্তি নগর ট্রাক টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের নিচে গিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার (পায়ুপথে ধর্ষণ) করে। পরে ভিকটিমের পিতা শিশুটিকে খুঁজতে বের হলে শিশুর পিতার ডাক শুনে আসামি পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ভিকটিম শিশুর পিতা রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় আসামিকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান, ‘এক শিশুকে পায়ুপথে ধর্ষণের অপরাধে আসামিকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।’