কোটা পুনর্বহালের দাবিতে চবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন
প্রকাশঃ ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০৫:৩৭:২৯
| আপডেটঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৪:৩৮:০৮
|
১৯৪৮
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। দেশে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে সংরক্ষিত ৫% কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন শুরু হয়।
ছাত্রনেতা অর্পন চাকমার সঞ্চালনায় পিসিপি চবি শাখার সংগঠক ত্রিরত্ন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সোহেল চাকমা, পিসিপি মহানগর শাখার সভাপতি হ্লাচিংমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমা ও অর্থ সম্পাদক রীতা চাকমা। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন পালি বিভাগের শিক্ষার্থী চিংমং মারমা এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম এর তথ্য প্রচার সম্পাদক আবরণ ত্রিপুরা।
অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত ৫% কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অবিবেচনাপ্রসূত, অযৌক্তিক, বাস্তবতাবিবর্জিত ও সরকারের ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন, পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কোটা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। ‘দেশের পশ্চাদপদ সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে শিক্ষাদীক্ষা ও চাকুরীসহ উন্নয়ন সূচকে পেছনে রেখে আগমী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রুপান্তরিত করার সরকারের স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। বরং দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে হলে সংখ্যালঘু জাতিগুলোকে সবদিক দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে এবং এজন্য দরকার সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা।’
কোটা সংস্কার কমিটির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও কোটা সংস্কার কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও অনেক অগ্রসর হয়েছে। অথচ কোটা সংস্কার কমিটি দীর্ঘ পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিবেদনে গত ১০ বছরের বিসিএসের তথ্য তুলে ধরেন, যেখানে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর’ কোটা ৫% এর জায়গায় পূরণ হয়েছে মাত্র ১.১৭%। যদি তাই হয়, তাহলে কীভাবে তিনি (মন্ত্রীপরিষদ সচিব) বলেন যে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অনেক অগ্রসর হয়েছে এবং তাদের জন্য আর কোটার দরকার নেই? তার দেয়া পরিসংখ্যানই তার ‘অগ্রসর হওয়ার’ দাবিকে নাকচ করে দেয়।