চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আইনজীবিদের মানববন্ধন নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে লংগদুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন লংগদু-দীঘিনালার মনের মানুষ এলাকায় আগুনে বসতঘরসহ পুড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। যা আগামী ২৪ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে লংগদু উপজেলার ৩টি মন্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। বর্তমানে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে আপন মনে নিপুণ হাতে তৈরি করছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। একাগ্র চিত্তে মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা শব্দের অর্থ অপ্রতিরোধ্য। এ বছর মহাষষ্ঠীতে এই মহামায়া দশভূজা দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে ঘোটকে করে এবং পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোটকে চড়ে কৈলাশে ফিরবেন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাঙামাটির লংগদুতে মোট ৩টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজা। তন্মধ্যে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম মন্দির, শ্রী শ্রী শিব মন্দির, শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আসন্ন দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে লংগদু উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাথে আইনশৃঙ্খলা সভাও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে পুজা মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীদের নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নিখুঁতভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলেছেন দেবী দুর্গাকে। তার সঙ্গে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং তার সঙ্গে দেবতা কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলবেন নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়। এছাড়া পুজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজের পাশাপাশি চলছে মঞ্চ সাজসজ্জার কাজ। কেননা আর কদিন পরেই ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে লংগদুর পূজা মন্ডপগুলো।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুভাষ চন্দ্র দাশ জানান, আমাদের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই থানা পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশের স্বেচ্ছাসেবী দল ও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।