চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে আইনজীবিদের মানববন্ধন নাশকতার মামলায় নাইক্ষ্যংছড়ির দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেল হাজতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে লংগদুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৪৮ নেতাকর্মীর জামিন লংগদু-দীঘিনালার মনের মানুষ এলাকায় আগুনে বসতঘরসহ পুড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে লংগদুর নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। তাদের কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠলেও অধিকাংশরাই গবাদিপশু, মজুদ রাখা ফসল ও আসবাবপত্র নিয়ে বাড়ি ছাড়তে পারিনি। ফলে গৃহ ও পানি বন্দি হয়ে খাদ্যভাব দেখা দেয়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের স্বাভাবিক জনজীবন। সম্প্রতি এসব দুর্ভোগে থাকা মানুষের দুর্বিষহ জীবন চিত্র ঘুরে দেখেন মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল।
পরবর্তীতে তিনি রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বন্যার্তদের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন।
উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের আওতাধীন পূর্ব জারুল বাগান, এফআইডিসি টিলা, সন্দীপ টিলা, শেখপাড়া, মাদ্রাসা ও মসজিদ টিলা এলাকায় দিনব্যাপী ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান কমল।
মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এবং লংগদু উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের যৌথ সহযোগিতায় উপহার হিসেবে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
পানিবন্দি এফআইডিসি টিলার মনোয়ারা বেগম ত্রাণ পেয়ে বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। কেউ কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। একমাত্র তিনিই বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে এসে ত্রাণ দিয়ে গেছে। বেসরকারি কোনো সহযোগিতা আমরা এখনো পাইনি।
ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২শ পরিবারকে সাধ্যানুযায়ী ত্রাণ দিয়েছি। পাশাপাশি নিজ অর্থায়নেও যতটুকু সম্ভব হচ্ছে দুর্গতদের সাহায্য করেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহায়তা সঠিকভাবে বন্টনের জন্য আমি নিজেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি। সাথে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন।
ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম, মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল হোসেন, আব্দুল মতিন, ইদ্রিস আলী, ওসমান গণি, সুকৃতি চাকমা, ফিরোজা বেগম ও স্বেচ্ছাসেবক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।